সেলিম সানোয়ার পলাশঃ
রাজশাহীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম-ওলামারা। রোববার (২৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা এই বিক্ষোভ করেন।
এরপর ঈদের আগেই বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং জনবল আউটসোর্সিংয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক কেয়ারটেকার ঐক্য পরিষদ, রাজশাহীর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ফিল্ড সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চলছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
তবে এই তিন মাস ধরেও শিক্ষকেরা শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তারা মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা সম্মানী পান। এ টাকায় সংসার চালানো কষ্টকর। সেই টাকাও তিন মাস ধরে পাননি শিক্ষকেরা। সামনে ইদ, এই ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামাদের ঘরে ইদ আসেনি। এই রমজানে যখন তাদের ইবাদত-বন্দেগিতে সময় পার করার কথা, তখন সামান্য বেতনের জন্য তাদের আন্দোলনে আসতে হচ্ছে।
আরেক ফিল্ড সুপারভাইজার মোস্তাক আহমেদ বলেন, সম্প্রতি তারা জেনেছেন যে শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম আর প্রকল্পের মাধ্যমে চলবে না। ঠিকাদারের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে জনবল নেওয়া হবে। এটা হলে যারা বছরের পর বছর শিক্ষকতা করছেন, তারা চাকরি হারাবেন। তারা এই সিদ্ধান্ত বাতিল চান। তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মাস্টার ট্রেইনার মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে এই মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চলতে পারে না। সকলকে রাজস্ব খাতে নিতে হবে। এটা সকলের প্রাণের দাবি। দাবি আদায় না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।
এই কর্মসূচিতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর এলাকায় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত প্রায় ১ হাজার ৩০০ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম-ওলামা অংশ নেন।
প্রিন্ট