ইসমাইল হোসেন বাবুঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সুনামধন্য জেনারেল এগ্রোভিট ও অগ্রগামী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করার প্রতিবাদে কোম্পানীটির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ মেহের আলী সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
আজ বৃহস্প্রতিবার সকাল ১১টার দিকে ভেড়ামারার ফুডল্যান্ড ক্যাফে রেষ্টুরেন্টে তিনি এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় তিনি দাবি করেন, জেনারেল এগ্রোভিট ও অগ্রগামী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এর সমুদয় শেয়ার ও প্রাপ্য পাওনা ৭৫ লক্ষ টাকা বুঝে নিয়ে তিনি তার শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন কোম্পানীর প্রথম এমডি নাজমুস সাকিব। কোন জোর জবরদস্তি, হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়নি।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেনারেল এগ্রোভিট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহের আলী।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ভেড়ামারার দক্ষিণ রেলগেট এলাকায় জেনারেল এগ্রোভিট কোম্পানীর যাত্রা শুরু হয়। সে সময় নাজমুস সাকিব ছিল এমডি আর আমি ছিলাম চেয়ারম্যান। পরে আমরা অগ্রগামী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামের আরো একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করি। ২০২৩ সালের ৮ মে কোম্পানীগুলোর সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব এবং শেয়ার থেকে অব্যাহতি নিই। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে তার চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে শত শত টন কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পাচার করে বিক্রয় এবং মার্কেট থেকে প্রায় দেড়-দুই কোটি টাকার অধিক টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
নাজমুস সাকিবকে মাদকাসক্ত উল্লেখ করে বলা হয়, ১৪ লক্ষ টাকা চুরি করে পালানো একজন মার্কেটিং অফিসারকে সাথে নিয়ে তিনি বাংলাটেক এগ্রো কেয়ার লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গড়ে তোলেন। চার বছরেও কোম্পানির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় কাঁচামাল পাচার, অর্থ জালিয়াতি, নারী কেলেঙ্কারি, মাদকাসক্তসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সে সময়ই কোম্পানী থেকে শেয়ার ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সাকিবকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়, অথবা আপনি শেয়ার কিনে নিন, নয়তো আপনার শেয়ার বিক্রি করে দিন। সে সময় ঠান্ডা মাথায় সাকিব তার ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় শেয়ার বিক্রি করে দেয়। সে সময় কাঁচামাল বাবদ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৭০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। যার সকল ডকুমেন্ট আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
প্রিন্ট