ইব্রাহিম হোসেনঃ
ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগ ফোরামের আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রসংস্কার প্রস্তাবের উপর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানী সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার হল রুমে বরিশাল বিভাগ ফোরামের আয়োজনে এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, বরিশাল বিভাগ ফোরামের সভাপতি এবং ঠিকানা বাংলাদেশ এর আহবায়ক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জননেতা লায়ন মোঃ নূরুল ইসলাম খান মাসুদ এর সভাপতিত্বে ও বরিশাল বিভাগ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জনাব ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বানিজ্য মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্সাল জনাব আলতাফ হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সারোয়ার এবং বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বরিশাল বিভাগ ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির এই ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমঅধিকার বাস্তবায়ন করা হবে। এসব দফা বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এতে কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য থাকবে না।
নেতারা আরও বলেন, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ (সমন্বিত রাষ্ট্রসত্তা) প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, সংস্কার প্রস্তাবে আইন সভায় উচ্চ কক্ষের প্রবর্তন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন প্রভৃতি।
আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
প্রিন্ট