আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
রাজশাহীর বাঘায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাউসা ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে মানববন্ধনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা। মারপিটের ঘটনার পর ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, জামায়াতসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির পদধারি নেতারা একতরফাভাবে সরকারি সুবিধা নেওয়ার কারণে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ ২৫) সকাল সাড়ে ১১টায় বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টিসিবি, ভিজিডি কার্ড বাণিজ্য, তথ্য সেবা কেন্দ্রের চাঁদাবাজি সহ সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাউসা ইউনিয়ন শাখার ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাউসা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা মজিবর রহমান, সেক্রেটারি সামশুল ইসলামের নেতৃত্বে মানববন্ধনে অংশ নেন, উপজেলা কমিটির সেক্রেটারি শিক্ষক ইউনুস আলী, ইউনিয়ন যুব সভাপতি মইিদুল ইসলাম, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান শিল্পী, ছাত্র শিবিরের উত্তর সাথা শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ জামায়াত সমর্থকরা ফ্যাস্টুন ব্যানার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সুপারিনটেনডেন্ট রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে দলীয় সমর্থকদের নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। এ সময় মানববন্ধন ষড়যন্ত্র বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
জামায়াতের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা মজিবর রহমান জানান, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়নে টিসিবি, ভিজিডি কার্ডসহ সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে তথ্য সেবা কেন্দ্রে সুবিধার নামে চাঁদাবাজি করা হয়েছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সুপারিনটেনডেন্ট রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নাসির উদ্দীন তাদের সমর্থিত লোকজন নিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। গোলযোগ এড়াতে মানববন্ধন কর্মসূচি সংক্ষেপ করেন এবং নেতা-কর্মীদের চলে যেতে বলেন।
এ সময় বাউসাবাজার পার হয়ে পূর্বদিকে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে স্লোগান দিতে দিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হাতে থাকা ফ্যাস্টুন-ব্যানার কেড়ে নিয়ে মারপিট করে। এতে আব্দুর রহমান (২২), সৌরভ আলী (২০), আবু তাহের (৩৩), হোসেন (৩৪) আহত হন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম জানান, সরকারি সুবিধার বিষয়াদি নিয়ে জামায়াতের লোকজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে কাজ করা হচ্ছে। এর পরেও তারা মানববন্ধনের আয়োজন করেন। তাদের মানববন্ধন করতে নিষেধ করলেও শোনেনি। এ নিয়ে জনগণ মানববন্ধনের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদ করেছে। তবে মানববন্ধন থেকে স্থান ত্যাগ করার সময় কারা মারপিট করেছে, জানা নেই।
ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রহমান বলেন, “সবেমাত্র দায়িত্ব পেয়েছি। এরই মধ্যে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। তবে সবাইকে মাথায় রাখতে হবে, আমি চাইলেই একা সব কিছু ভাগ-বণ্টন করতে পারব না। সবাইকে নিয়েই বণ্টন করতে হয়।”
প্রিন্ট