কাজী নূরঃ
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—গদখালি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত এবং তাদের সহযোগী জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমান।
এদিকে, গ্রেপ্তার দুই ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে যশোর জেলা ছাত্রদল। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়, এই দুই নেতাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘‘আজ থেকে তাদের সাথে দলের কারও কোন ধরনের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন যশোর জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বাপ্পি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ নেওয়াজ ইমরান।’’
জানা যায়, রবিবার বিকেলে গদখালী বাজারে আমিনুরের দোকানে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী ফুল কিনতে যান। এ সময় আমিনুর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেয়েটিকে নাটুয়াপাড়া গ্রামে জাবেদের লিচুবাগানে নিয়ে যান। সেখানে আমিনুর, জাবেদের সঙ্গে আবদুল্লাহ ও ইয়াসিন যোগ দেন। পরে চারজনে মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।
এই ঘটনার পর ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম জানান, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অভিযুক্ত দুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, ওই তরুণী বেনাপোলে তার এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানি আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে তার চার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এ সময় তারা তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনের লিচুবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
খবর পেয়ে যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান জানান, বিকেলে মেয়েটি ফোন করে জানান, চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছেন। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রিন্ট