ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঘায় টিসিবি’র পণ্য কিনতে ভোগান্তি

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

 

বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে টিসিবি’র পণ্যই এখন নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ ভরসা। মূল্যস্ফীতির চাপে লাইনে বাড়ছে মধ্যবিত্তেরও সংখ্যা। একটু কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মানুষের এমন দীর্ঘ লাইন দেখলেই বোঝা যায় কতটা অসহায় মানুষ।

 

রমজান মাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও টিসিবির পণ্য কিনতে ভোগান্তিতে পড়ে ভোক্তারা। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় টিসিবির পণ্য জোটে না সবার ভাগ্য। অন্যদিকে ভোক্তার মোট পণ্যর মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়ার কথা জানা গেছে।

 

সরেজমিন শুক্রবার (১৪-০৩-২০২৫)উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মনিগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখা যায় ভোক্তাদের দীর্ঘ লাইন। গত বৃহসপতিবারও সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও টিসিবির পণ্য কিনতে হয়েছে ভোক্তাদের।

 

জানা যায়, ইউনিয়নটিতে ফ্যামিলি কার্ডধারীর মোট সংখ্যা ২০১২ টি। এর মধ্যে-৩০ টাকা কেজি দরে ৫কেজি চাল, ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি ডাল, ১০০ টাকা লিটার হিসেবে ২ লিটার সোয়াবিন তৈল,৭০ টাকা কেজি দরে ১কেজি চিনি,৬০ টাকা কেজি হিসেবে ১ কেজি ছোলা কিনতে পারছে ১৬৮৪ জন। কার্ডপ্রতিমোট পণ্যর দাম পড়ে ৬০০টাকা।

 

পণ্য কিনতে আসা ৬০ বছরের জাবেদা ও ৬৫ বছরের মইজান জানান, রোজা থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্য কিনা কষ্টের ব্যাপার। ২২ বছরের তারিক জানান,কিছু কম দামে পণ্য কিনতে আসা মানুষগুলোর মধ্যে বয়স্করাই বেশি ভোগান্তির স্বীকারহয়েছে। এসব মানুষেরা বলছেন, পণ্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো উচিত টিসিবির।

 

ওই বিক্রয় কেন্দ্রে মূলত ডিলার যুবলীগের শাহিন আলম। আতœগোপন থাকার কারণে তার হয়ে পণ্য বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা বাদল হোসেন। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাম্মী আক্তার জানান,যাদের স্মাট কার্ড এক্টিভেশন হয়েছে তারাই পণ্য কিনতে পারছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বাঘায় টিসিবি’র পণ্য কিনতে ভোগান্তি

আপডেট টাইম : ৫ ঘন্টা আগে
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

 

বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে টিসিবি’র পণ্যই এখন নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ ভরসা। মূল্যস্ফীতির চাপে লাইনে বাড়ছে মধ্যবিত্তেরও সংখ্যা। একটু কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মানুষের এমন দীর্ঘ লাইন দেখলেই বোঝা যায় কতটা অসহায় মানুষ।

 

রমজান মাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও টিসিবির পণ্য কিনতে ভোগান্তিতে পড়ে ভোক্তারা। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় টিসিবির পণ্য জোটে না সবার ভাগ্য। অন্যদিকে ভোক্তার মোট পণ্যর মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়ার কথা জানা গেছে।

 

সরেজমিন শুক্রবার (১৪-০৩-২০২৫)উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মনিগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখা যায় ভোক্তাদের দীর্ঘ লাইন। গত বৃহসপতিবারও সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়েও টিসিবির পণ্য কিনতে হয়েছে ভোক্তাদের।

 

জানা যায়, ইউনিয়নটিতে ফ্যামিলি কার্ডধারীর মোট সংখ্যা ২০১২ টি। এর মধ্যে-৩০ টাকা কেজি দরে ৫কেজি চাল, ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি ডাল, ১০০ টাকা লিটার হিসেবে ২ লিটার সোয়াবিন তৈল,৭০ টাকা কেজি দরে ১কেজি চিনি,৬০ টাকা কেজি হিসেবে ১ কেজি ছোলা কিনতে পারছে ১৬৮৪ জন। কার্ডপ্রতিমোট পণ্যর দাম পড়ে ৬০০টাকা।

 

পণ্য কিনতে আসা ৬০ বছরের জাবেদা ও ৬৫ বছরের মইজান জানান, রোজা থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্য কিনা কষ্টের ব্যাপার। ২২ বছরের তারিক জানান,কিছু কম দামে পণ্য কিনতে আসা মানুষগুলোর মধ্যে বয়স্করাই বেশি ভোগান্তির স্বীকারহয়েছে। এসব মানুষেরা বলছেন, পণ্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো উচিত টিসিবির।

 

ওই বিক্রয় কেন্দ্রে মূলত ডিলার যুবলীগের শাহিন আলম। আতœগোপন থাকার কারণে তার হয়ে পণ্য বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা বাদল হোসেন। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাম্মী আক্তার জানান,যাদের স্মাট কার্ড এক্টিভেশন হয়েছে তারাই পণ্য কিনতে পারছেন।


প্রিন্ট