কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কেউ কাজ হারিয়ে পড়েছে খাদ্য সংকটে কেউ বা করোনা রোগী নিয়ে পড়েছে বিপাকে।এই জরুরি মুহূর্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার, খাদ্যসহ বিভিন্ন সংকটে পড়েছে মধ্য বিত্ত ও নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারগুলো।
এই দূর্যোগকালিন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এমনকি ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে তাদের পাশে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শহর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই কেয়ার’ ‘আমরা করবো জয়’ কঠোর লকডাউনের শুরু থেকেই তাদের কর্মীদের নিয়ে ছুটে যেতে থাকে সংকটাপন্ন রোগীদের স্বজনদের আহবানে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে এবাড়ি থেকে সেবাড়ি। রাতনেই , দিননেই, চলছে তাদের নিরন্তর ছুটে চলা।
এরই পাশা পাশি সংগঠন গুলো ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে প্রতি রাতে রোগী ও তাদের সজনদের জন্য ব্যাবস্থা করছে রাতের খাবারের।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই কেয়ার’ এর সঞ্জয় সাহা জানান, তাদের সংগঠনের প্রধান প্রবাসী রোকেয়া পারভীনের পাঠানো অর্থ দিয়ে চালানো হচ্ছে মানবিক এই কাজ।
তবে অপরসংগঠন ‘আমরা করবো জয়’এর মহুয়া ইসলাম জানান, তাদের নির্দিষ্ট কোনো ডোনার নেই। স্বেচ্ছায় দেয়া নাম প্রকাশে অনাগ্রহী ব্যাক্তিদের অনুদানের টাকায় রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করেদিন থেকে গভীর রাত ফোন কল আসা মাত্রই ছুটে যাচ্ছেন তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দিশেহারা মুমূর্ষ প্রায় করোনা আক্রান্ত্র রোগীর কাছে৷
একই ভাবে করোনার এই যুদ্ধে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগের কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমরা জেলা আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা দিচ্ছি। কোনো রোগী তার অ্যাম্বুলেন্স সেবার দরকার হলে আমাদের হট নাম্বারের ফোন দিলেই সেখানে চলে যায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্স । আর এই কাজে কাউকে কোন পয়সা দিতে হয় না।
অনুরুপ ভাবে জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগ গত এক মাস ধরে শহরের ফ্রি অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স, এবং মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকারের সেবা দিয়ে আসেছে ।
সংগঠনটির সভাপতি শওকত আলী জাহিদ জানান, মানুষের এই বিপদের সময় তাদের পাশে আমরা থাকতে পারছি তাতেই আনন্দ।তিনি বলেন, দেশে লকডাউন থাকায় হাসপাতাল গুলোতে রোগীর স্বজনদের খাবারের ব্যবস্থা আমাদের দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকারের পাশা-পাশি আমাদের কর্মীরা মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রারনা চালাচ্ছে। চেষ্টা করছি শুরু নিজেরা ভাল থাকতে নয়, সমাজের সকলকে নিয়ে ভাল থাকতে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৪৭০নমুনা পরীক্ষার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২০৮জন আর এই সময়ে করোনায় মারা গেছে ১৪ ব্যক্তি। শনাক্তের হার ৪৪.২৩ শতাংশ। জেলায় এই পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৭৬ জন।
প্রিন্ট