ঢাকা , সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খোকসায় আগুনে পুড়েছে সংখ্যালঘুর ৩টি ঘর ৫টি গরুসহ পেঁয়াজ Logo গাজীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ Logo হাতিয়ায় অস্ত্রসহ ৩ দুর্ধর্ষ ডাকাত আটক Logo মধুখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত যুবক নিহত Logo তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির কর্মসূচি চলছে Logo মাদারীপুরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ Logo ৫ বছর পর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলেন গৃহকর্মী Logo কুমারখালী ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ Logo রাজশাহী-১ আসনে পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের খোঁজে বিএনপি Logo ফরিদপুরে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে আটক পাঁচ, মাদক ও টাকা জব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

যুবককে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন কাউন্সিলরের

স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে মুরাদ হোসেন রনি (৩৫) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন আওলাদ হোসেন নামে এক কাউন্সিলর।

আওলাদ হোসেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সোমবার মুন্সীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা হয় সদর থানায়।

নির্যাতনের শিকার মুরাদের বাবা দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মোরশেদ হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে কাউন্সিলর আওলাদসহ আরও দুজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপর অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মনির হোসেন ও কালাই হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মনির হোসেনের বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণ ও ২২ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় সোমবার সকালে চুরির অপবাদে মনিরের প্রতিবেশী রনিকে বাড়ি থেকে ধরে আনেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনসহ মনির হোসেন ও তার ভাই কালাই। পরে মনিরের বাড়ির উঠানে রনিকে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন আওলাদ। তবে মারধরের পরও চুরির বিষয়ে অস্বীকার করেন রনি। পরে রনির ছোটভাই থানা থেকে পুলিশ নিয়ে আসলে কাউন্সিলর পুলিশের কাছে রনিকে সোপর্দ করেন।

নির্যাতনের শিকার রনি বলেন, সকালে বাসায় এসে কাউন্সিলর আওলাদ জিজ্ঞাসার কথা বলে আমাকে মনিরদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাকে হাত-পা বেঁধে মারতে থাকে, আর বলে চুরির কথা স্বীকার করতে। আমি তো স্বর্ণ নেই নাই, আমি কেন স্বীকার করব? আমারে শুধু শুধু মারধর করছে, আমি এর বিচার চাই।

মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন বলেন, আমি রনিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসিনি। মনিরদের বাড়িতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে, এটি জানতে পেরে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি অনেক মানুষ সেখানে। পরে ক্রেডিট নেয়ার জন্য তাকে মেরে ছেড়ে দিছি। পুলিশ আসলে চিকিৎসা করানোর কথা বলি। বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। চুরির প্রমাণ পাইনি।

সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কালাই ও মনির নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন পলাতক রয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

খোকসায় আগুনে পুড়েছে সংখ্যালঘুর ৩টি ঘর ৫টি গরুসহ পেঁয়াজ

error: Content is protected !!

যুবককে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন কাউন্সিলরের

আপডেট টাইম : ১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
ডেস্ক রিপোর্টঃ :

স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে মুরাদ হোসেন রনি (৩৫) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন আওলাদ হোসেন নামে এক কাউন্সিলর।

আওলাদ হোসেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সোমবার মুন্সীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা হয় সদর থানায়।

নির্যাতনের শিকার মুরাদের বাবা দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মোরশেদ হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে কাউন্সিলর আওলাদসহ আরও দুজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপর অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মনির হোসেন ও কালাই হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার মনির হোসেনের বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণ ও ২২ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় সোমবার সকালে চুরির অপবাদে মনিরের প্রতিবেশী রনিকে বাড়ি থেকে ধরে আনেন কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনসহ মনির হোসেন ও তার ভাই কালাই। পরে মনিরের বাড়ির উঠানে রনিকে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন আওলাদ। তবে মারধরের পরও চুরির বিষয়ে অস্বীকার করেন রনি। পরে রনির ছোটভাই থানা থেকে পুলিশ নিয়ে আসলে কাউন্সিলর পুলিশের কাছে রনিকে সোপর্দ করেন।

নির্যাতনের শিকার রনি বলেন, সকালে বাসায় এসে কাউন্সিলর আওলাদ জিজ্ঞাসার কথা বলে আমাকে মনিরদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাকে হাত-পা বেঁধে মারতে থাকে, আর বলে চুরির কথা স্বীকার করতে। আমি তো স্বর্ণ নেই নাই, আমি কেন স্বীকার করব? আমারে শুধু শুধু মারধর করছে, আমি এর বিচার চাই।

মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন বলেন, আমি রনিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসিনি। মনিরদের বাড়িতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে, এটি জানতে পেরে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি অনেক মানুষ সেখানে। পরে ক্রেডিট নেয়ার জন্য তাকে মেরে ছেড়ে দিছি। পুলিশ আসলে চিকিৎসা করানোর কথা বলি। বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে। চুরির প্রমাণ পাইনি।

সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কালাই ও মনির নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন পলাতক রয়েছেন।


প্রিন্ট