ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হুমকির মুখে মৎস সম্পদ

বিল কুড়লিয়ায় অভয়াশ্রমের অবাধে মাছ শিকার

পাবনার চাটমোহরে বিলকুড়লিয়ার মৎস অভয়াশ্রমের অবাধে মা মাছ শিকার করছে শিকারীরা। ছবি- প্রতিনিধি।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইুউনিয়নের বিলকুড়লিয়ার মৎস অভয়াশ্রমের অবাধে মা মাছ ধরে নিচ্ছে কিছু অবৈধ মাছ শিকারীরা। হুইল বর্শি, কারেন্ট জাল দিয়ে মা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই । হরিপুর ইউনিয়ন মৎসজীবি সমিতির (রেজিঃ নং ৩১৯) জেলেরা বাঁধা দিতে গেলে তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়াচ্ছে এসব অবৈধ মৎস শিকারীরা। অভয়াশ্রম থেকে মা মাছ মেরে নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মৎস সম্পদ ও মৎসজীবিরা।

শুক্রবার সকালে বিলকুড়লিয়ার মৎস অভয়াশ্রমে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিপুর বাজার পাড়ার অনিলের ছেলে গ্রাম পুলিশ সত্যজিত, হরিপুর মল্লিক পাটের আশরাফ আলীর ছেলে কাবিলসহ প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ জন হুইল বড়শি ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবৈধ ভাবে অভয়াশ্রমের মা মাছ শিকার করছেন।

হরিপুর ইউনিয়ন মৎসজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল জানান, মৎস সম্পদ রক্ষায় সরকার এ বিলে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছেন। এ অভয়াশ্রমে রুই, কাতলা, মৃগেল, ষোল, বোয়াল, শিং, চিতলসহ কার্প জাতীয় মাছ রয়েছে। সমিতির ২শ ২৬ জন মৎসজীবিসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মৎসজীবি আভয়াশ্রমের বাইরের এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

এ ব্যাপারে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন জানান, অভয়াশ্রম থেকে অবৈধ ভাবে মাছ ধরা অন্যায়। মাছের বংশ রক্ষায় আমরা সব সময় অভয়াশ্রমের মাছ ধরতে মানুষকে নিষেধ করি। চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, অভয়াশ্রমের মা মাছ রক্ষায় আমরা সব সময় সচেষ্ট। অবৈধ ভাবে মাছ ধরা রোধ করতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। এর পরও অভয়াশ্রম থেকে অনেকে মাছ ধরছেন ।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

হুমকির মুখে মৎস সম্পদ

বিল কুড়লিয়ায় অভয়াশ্রমের অবাধে মাছ শিকার

আপডেট টাইম : ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইুউনিয়নের বিলকুড়লিয়ার মৎস অভয়াশ্রমের অবাধে মা মাছ ধরে নিচ্ছে কিছু অবৈধ মাছ শিকারীরা। হুইল বর্শি, কারেন্ট জাল দিয়ে মা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই । হরিপুর ইউনিয়ন মৎসজীবি সমিতির (রেজিঃ নং ৩১৯) জেলেরা বাঁধা দিতে গেলে তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়াচ্ছে এসব অবৈধ মৎস শিকারীরা। অভয়াশ্রম থেকে মা মাছ মেরে নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মৎস সম্পদ ও মৎসজীবিরা।

শুক্রবার সকালে বিলকুড়লিয়ার মৎস অভয়াশ্রমে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিপুর বাজার পাড়ার অনিলের ছেলে গ্রাম পুলিশ সত্যজিত, হরিপুর মল্লিক পাটের আশরাফ আলীর ছেলে কাবিলসহ প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ জন হুইল বড়শি ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবৈধ ভাবে অভয়াশ্রমের মা মাছ শিকার করছেন।

হরিপুর ইউনিয়ন মৎসজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল জানান, মৎস সম্পদ রক্ষায় সরকার এ বিলে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছেন। এ অভয়াশ্রমে রুই, কাতলা, মৃগেল, ষোল, বোয়াল, শিং, চিতলসহ কার্প জাতীয় মাছ রয়েছে। সমিতির ২শ ২৬ জন মৎসজীবিসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মৎসজীবি আভয়াশ্রমের বাইরের এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

এ ব্যাপারে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন জানান, অভয়াশ্রম থেকে অবৈধ ভাবে মাছ ধরা অন্যায়। মাছের বংশ রক্ষায় আমরা সব সময় অভয়াশ্রমের মাছ ধরতে মানুষকে নিষেধ করি। চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, অভয়াশ্রমের মা মাছ রক্ষায় আমরা সব সময় সচেষ্ট। অবৈধ ভাবে মাছ ধরা রোধ করতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। এর পরও অভয়াশ্রম থেকে অনেকে মাছ ধরছেন ।