ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেশের কল্যাণে দ্রুত সময়ের ভিতরে নির্বাচন দিনঃ -আমিনুল হক Logo সিরাজগঞ্জে এ.আই. টেকনিশিয়ানদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ রাজস্ব করণ দাবিতে মানববন্ধন Logo গাজীপুর পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত Logo নাটোরে ৫ দফা দাবি নিয়ে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের শিক্ষকগণের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo রাজশাহীতে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের বিক্ষোভ Logo মিরপুর কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সাংবাদিক মারফত আফ্রিদী Logo কুষ্টিয়ায় পল্লী চিকিৎসক হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন Logo পরীক্ষামূলকভাবে লালপুরে চাষ হচ্ছে ঢেমশি Logo নড়াইল প্রেসক্লাবে আগমন উপলক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতিকে সংবর্ধনা Logo বাঘায় মেলার জন্য ১৯ শর্তে ওয়াকফ্ এষ্টেটের মাঠ ইজারা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের মামলায় ৭ হিজড়ার কারাদণ্ড

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কাপড় ব্যবসায়ী শিপন আলীকে (৩৯) কৌশলে অপহরণ করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার মামলায় অভিযুক্ত ৭ হিজড়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান এ আদেশ দেন।

 

আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ওয়াপদা সাইকেল স্ট্যান্ড এলাকার দুর্লভ প্রামাণিকের ছেলে ইমন ওরফে নেহা (২৮), একই এলাকার সোহেল রানার ছেলে বাঁধন ওরফে বেলী (২৬), আব্দুর রহমানের ছেলে মিজান ওরফে আঁখি (৩৬), নজু জোয়াদ্দারের ছেলে মিন্টু ওরফে ফুলি (২৮), মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে আলামিন ওরফে পানি (২৯), ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয় ওরফে পাখি (২১) ও আকবার আলীর ছেলে জাফর ওরফে সোনালী (২৬)।

 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ কাপড় ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্র ধরে অভিযুক্ত নেহা, আঁখি ও বেলীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা মাঝে মাঝে তার কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে কাপড় কিনতেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় এসে তারা পাঁচটি শাড়ি কেনেন এবং বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য ভুক্তভোগীকে মিরপুরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।

 

কাপড়ের টাকা নিতে সরল বিশ্বাসে তাদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিরপুরের ওয়াপদা এলাকায় যান ভুক্তভোগী। সেখানে নেহার বাড়িতে পৌঁছালে তারা শাড়ির বকেয়া টাকা পরিশোধ করেন। এরপর তাকে খাবার খেতে দেওয়া হয়। খাবার খাওয়ার পরপরই তার মাথা ঝিমঝিম করতে শুরু করে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

 

রাতের দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান, তার মাথা বেলীর হাঁটুর ওপর রাখা এবং আশপাশে অন্যান্য আসামিরা বসে আছেন। তখন তিনি টের পান, তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে এবং অপারেশনের মাধ্যমে তাকে জোরপূর্বক তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আসামিরা কোনো উত্তর না দিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাড়িতে আটকে রাখে। দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর গত ৩ মার্চ সুযোগ বুঝে পালিয়ে এসে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

 

এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, কাপড় ব্যবসায়ীর উপর সংঘটিত নৃশংস ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের কল্যাণে দ্রুত সময়ের ভিতরে নির্বাচন দিনঃ -আমিনুল হক

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের মামলায় ৭ হিজড়ার কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কাপড় ব্যবসায়ী শিপন আলীকে (৩৯) কৌশলে অপহরণ করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার মামলায় অভিযুক্ত ৭ হিজড়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান এ আদেশ দেন।

 

আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ওয়াপদা সাইকেল স্ট্যান্ড এলাকার দুর্লভ প্রামাণিকের ছেলে ইমন ওরফে নেহা (২৮), একই এলাকার সোহেল রানার ছেলে বাঁধন ওরফে বেলী (২৬), আব্দুর রহমানের ছেলে মিজান ওরফে আঁখি (৩৬), নজু জোয়াদ্দারের ছেলে মিন্টু ওরফে ফুলি (২৮), মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে আলামিন ওরফে পানি (২৯), ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয় ওরফে পাখি (২১) ও আকবার আলীর ছেলে জাফর ওরফে সোনালী (২৬)।

 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ কাপড় ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্র ধরে অভিযুক্ত নেহা, আঁখি ও বেলীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা মাঝে মাঝে তার কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে কাপড় কিনতেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় এসে তারা পাঁচটি শাড়ি কেনেন এবং বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য ভুক্তভোগীকে মিরপুরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।

 

কাপড়ের টাকা নিতে সরল বিশ্বাসে তাদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিরপুরের ওয়াপদা এলাকায় যান ভুক্তভোগী। সেখানে নেহার বাড়িতে পৌঁছালে তারা শাড়ির বকেয়া টাকা পরিশোধ করেন। এরপর তাকে খাবার খেতে দেওয়া হয়। খাবার খাওয়ার পরপরই তার মাথা ঝিমঝিম করতে শুরু করে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

 

রাতের দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান, তার মাথা বেলীর হাঁটুর ওপর রাখা এবং আশপাশে অন্যান্য আসামিরা বসে আছেন। তখন তিনি টের পান, তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে এবং অপারেশনের মাধ্যমে তাকে জোরপূর্বক তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে আসামিরা কোনো উত্তর না দিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাড়িতে আটকে রাখে। দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর গত ৩ মার্চ সুযোগ বুঝে পালিয়ে এসে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

 

এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, কাপড় ব্যবসায়ীর উপর সংঘটিত নৃশংস ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট