কাজী নূরঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে (সূত্র-বিএনপি/সাধারণ/৭৭/৩৪৭/২০২৫) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনে তো করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দলকে সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে বলে আশা রাখে।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পত্নী এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা।
নার্গিস বেগমকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করায় যশোর জেলা বিএনপির উল্লসিত নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসিয়েছেন।
তারা মনে করেন, এটি দলের জন্য তার দীর্ঘদিনের অবদান এবং ত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি, কঠিন সময়ে দলকে ধরে রাখার পুরস্কার। এ জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলেও মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
তারা আশা করেন, তিনি দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন এবং যশোরসহ পুরো খুলনা বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও মজবুত করবেন।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অধ্যাপক নার্গিস বেগম স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সহচর্যে ছিলেন। ‘৬০ এর দশকে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে সম্পৃক্ত হন দলটির সঙ্গে। শিক্ষকতাজীবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পদ- পদবি গ্রহণ না করলেও সক্রিয় ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে। স্বামী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর পরও তিনি দলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছেন এবং সাংগঠনিক কাজকর্ম চালিয়ে গেছেন। তিনি যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে যশোর বিএনপি সংগঠিত থেকেছে এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম যশোর সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে পেশাগত জীবন শেষ করেন। বর্তমানে তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সর্বোচ্চ নীতিরির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
প্রিন্ট