মানিক কুমার দাসঃ
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সহধর্মিণী চৌধুরী শায়লা কামালের(৭৬) জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে তার মৃতদেহ ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। বাদ আসর কমলাপুর ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে ময়েজমঞ্জিলে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুম কামাল ইবনে ইউসুফের কবরের পাশেই দাফন করা হয়।
এর আগে জানাজা পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মরহুমার জ্যেষ্ঠ কন্যা মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফ এম কাঈয়ূম জঙ্গি, সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ রাজিব হোসেন, সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও সাধারণ মুসুল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বুধবার ভোররাত ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও তার স্ত্রী চৌধুরী শায়লা কামাল দু’জনেই ছিলেন শরিয়তপুরের পীর দুদু মিয়ার নাতনি। তারা সম্পর্কে ছিলেন খালাতো ভাইবোন। শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জের কার্তিকপুরের জমিদার বাড়ির সন্তান মরহুম নিজামউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর মেঝো মেয়ে ছিলেন শায়লা চৌধুরী।
১৯৬৯ সালে ফরিদপুরের আরেক জমিদার ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। চার কন্যার জনক-জননী তারা। তাঁদের জ্যেষ্ঠ কন্যা চৌধুরী নায়াব ইউসুফ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার আহ্বায়ক।
প্রিন্ট