মোঃ তাহসিনুল আলম সৌরভঃ
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে জেলেদের মাছ লুটের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে একজনের ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই বক্তব্যের কারণে তাকে দল থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুরো ঘটনাটি সাজানো।
ভিডিও বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তির নাম রাকিব উদ্দিন। তিনি নিঝুমদ্বীপ ৯ নং ওয়ার্ডের মুন্সি গ্রামের আব্দুল মদিনের ছেলে।
রাকিব জানান, ঘটনার দিন তিনি সহ নিঝুমদ্বীপের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১০-১২ জনের একটি দল নদীতে গিয়ে জেলেদের মাছ, জাল লুঠ করে। পরের দিন ঘটনাটি জানা হয়ে গেলে অনেকে আত্মগোপনে চলে যায়। এদের মধ্যে সবাই ঘটনাটি প্রকাশ করে দেওয়ার বিষয়ে রাকিবকে সন্দেহ করে। এর কয়েকদিন পর রাকিবকে জোরপূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে জেলেদের মাছ লুঠের সাথে জড়িত নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিন সহ আরো কয়েকজনের নাম বলতে বাধ্য করা হয়। যা ভিডিও আকারে ধারণ করে পাশে থাকা কয়েকজন। পরে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং জেলা ও উপজেলা যুবদলের দায়িত্বে থাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে দেওয়া হয়।
রাকিব আরো জানায়, জোরপূর্বক এই ভিডিও বক্তব্য নেওয়ার বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। ঘটনার সাথে জড়িত আকতার, সোহেল, এনাম, পারুক, ইলিয়াস, ওসমান, এমরানসহ সবার বাড়ি নিঝুমদ্বীপের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। তারা সবাই যুবদল সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিনের প্রতিপক্ষের লোক।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, নিঝুমদ্বীপে রাজনৈতিক গ্রুপিং চরম আকারে উঠেছে। তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার পরপরই তিনি রাকিবকে নিয়ে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করেছেন। রাকিব তার কাছ থেকে জোরপূর্বক এই বক্তব্য নেওয়া হয়েছে বলে সবাইকে অবহিত করেছেন।
আশ্রাফ আরো জানান, তিনি এই ঘটনায় জড়িত নয়। প্রতিপক্ষের লোকজন ঘটনাটি সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে উপস্থাপন করেছেন। যার কারণে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়। এদিকে, এই ঘটনার কয়েকদিন পর গত (২ মার্চ) একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনলাইনে “নদী দখল করে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ বিএনপি-যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়। তাতে তাকে নিয়ে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নদীর ব্যবসার সাথে সে জড়িত নয়। জেলেদের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। জেলেদের হার ভাগ ও ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
প্রিন্ট