ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বড়াল নদীতে গ্রামবাসীর  উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বাঁশের সেতু

 চাটমোহর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদীর উপর গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বাঁশের সেতু। ইতোমধ্যে সেতুটির ৯৯ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। চাটমোহর পৌরসভার সাথে বিলচলন ইউনিয়নের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ স্থান চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাটে এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।
সম্প্রতি বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির আন্দোলন  ফলে ২০১৬ সালে বড়াল নদীর উপর নির্মিতএকাধিক ক্রসবাঁধ অপসারণ করা হয়। এরপর উপজেলার রামনগর,বোঁথর ও নতুন বাজার জাদ্রিস মোড় এলাকায় বড়াল নদীর উপর ৩টি সেতু নির্মিত হয়। দহপাড়া ও নতুন বাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ বিলম্বিত হয়।
ওই সময় এলাকাবাসীর দাবির মুখে নদীর পারাপারের জন্য পাবনা-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেনের আর্থিক সহায়তায় এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে বড়াল নদীর নতুন বাজার খেয়াঘাটে নির্মিত হয় বাঁশের চারাটের সেতু। সেখান দিয়েই মানুষ ও যানবাহন চলাজল করতে থাকেন। এরই মধ্যে চলতি বছরের প্রথম দিকে দহপাড়া ও নতুনবাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ভেঙে ফেলা হয় বাঁশের সেতুটি। এলজিইডির তদারকিতে এই সেতু ২টি নির্মিত হচ্ছে।
কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি এসে যাওয়ায় নদী পারাপার বন্ধের উপক্রম হয়। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। সেতু নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের মানুষ পড়ে যায় বিপাকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চলাচলের জন্য মাটি ফেলে একটি রাস্তা তৈরি করলেও,সেটি তলিয়ে গেছে। কোন উপায়া না দেখে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিনারুল ইসলাম বাঁশের সেতু তৈরি উদ্যোগ নেন। প্রথমে তিনি নিজের টাকা ও বাঁশ দিয়ে সেতুটির নির্মাণ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে মিনারুলকে সহযোগিতার জন্য। বিলচলন ইউনিয়নের ও পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ও মহল্লার বাসিন্দারা বাঁশ ও টাকা দিয়ে সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করতে থাকেন। সেতুর সিংহভাগ নির্মাণ শেষ হয়েছে। চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,এখানে ব্রিজটি নির্মাণ যথাসময়ে হলে এ অসুবিধা হতো না।
সবাইকে যাতায়াত করকে হবে। যার জন্য নিজেরাই এখন বঁাশ দিয়ে সেতু নির্মাণ করছি। তিনি সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সরকারি সহযোগিতার অনুরোধ করেন। উদ্যোক্তা মিনারুল জানান,এই সেতুটি নির্মাণে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান জানান,প্রায় ৪ বছরেও ব্রিজটি নির্মাণ হয়নি। বর্ষা মৌসুমের আগেই এটি নির্মাণ করা উচিত ছিল। বড়ালের বুকে ক্রসবাঁধ দিয়ে নদীটিকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা ক্রসবাঁধ অপসারণ করে বড়াল উন্মুক্তের দাবিতে আন্দোলন করেছি। বঁাধ অপসারণ হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। ভালো কিছু পেতে সবাইকে একটু কষ্ট তো করতেই হবে এটাই স্বাভাবিক।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বড়াল নদীতে গ্রামবাসীর  উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বাঁশের সেতু

আপডেট টাইম : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা প্রতিনিধিঃ :
 চাটমোহর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদীর উপর গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে বাঁশের সেতু। ইতোমধ্যে সেতুটির ৯৯ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। চাটমোহর পৌরসভার সাথে বিলচলন ইউনিয়নের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ স্থান চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাটে এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।
সম্প্রতি বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির আন্দোলন  ফলে ২০১৬ সালে বড়াল নদীর উপর নির্মিতএকাধিক ক্রসবাঁধ অপসারণ করা হয়। এরপর উপজেলার রামনগর,বোঁথর ও নতুন বাজার জাদ্রিস মোড় এলাকায় বড়াল নদীর উপর ৩টি সেতু নির্মিত হয়। দহপাড়া ও নতুন বাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ বিলম্বিত হয়।
ওই সময় এলাকাবাসীর দাবির মুখে নদীর পারাপারের জন্য পাবনা-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেনের আর্থিক সহায়তায় এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে বড়াল নদীর নতুন বাজার খেয়াঘাটে নির্মিত হয় বাঁশের চারাটের সেতু। সেখান দিয়েই মানুষ ও যানবাহন চলাজল করতে থাকেন। এরই মধ্যে চলতি বছরের প্রথম দিকে দহপাড়া ও নতুনবাজার খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ভেঙে ফেলা হয় বাঁশের সেতুটি। এলজিইডির তদারকিতে এই সেতু ২টি নির্মিত হচ্ছে।
কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি এসে যাওয়ায় নদী পারাপার বন্ধের উপক্রম হয়। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। সেতু নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের মানুষ পড়ে যায় বিপাকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চলাচলের জন্য মাটি ফেলে একটি রাস্তা তৈরি করলেও,সেটি তলিয়ে গেছে। কোন উপায়া না দেখে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিনারুল ইসলাম বাঁশের সেতু তৈরি উদ্যোগ নেন। প্রথমে তিনি নিজের টাকা ও বাঁশ দিয়ে সেতুটির নির্মাণ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে মিনারুলকে সহযোগিতার জন্য। বিলচলন ইউনিয়নের ও পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ও মহল্লার বাসিন্দারা বাঁশ ও টাকা দিয়ে সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করতে থাকেন। সেতুর সিংহভাগ নির্মাণ শেষ হয়েছে। চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,এখানে ব্রিজটি নির্মাণ যথাসময়ে হলে এ অসুবিধা হতো না।
সবাইকে যাতায়াত করকে হবে। যার জন্য নিজেরাই এখন বঁাশ দিয়ে সেতু নির্মাণ করছি। তিনি সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সরকারি সহযোগিতার অনুরোধ করেন। উদ্যোক্তা মিনারুল জানান,এই সেতুটি নির্মাণে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান জানান,প্রায় ৪ বছরেও ব্রিজটি নির্মাণ হয়নি। বর্ষা মৌসুমের আগেই এটি নির্মাণ করা উচিত ছিল। বড়ালের বুকে ক্রসবাঁধ দিয়ে নদীটিকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা ক্রসবাঁধ অপসারণ করে বড়াল উন্মুক্তের দাবিতে আন্দোলন করেছি। বঁাধ অপসারণ হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। ভালো কিছু পেতে সবাইকে একটু কষ্ট তো করতেই হবে এটাই স্বাভাবিক।

প্রিন্ট