ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মঙ্গলকোটে মঙ্গলচণ্ডী পুজোয় পুলিশের জলছত্র Logo কুড়ানো আলুই ওদের সারা বছরের খাবার ! Logo সংকট উত্তরণে এখনই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেইঃ -নার্গিস বেগম Logo ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্যারাসিটামল ,কলেরা স্যালাইন ও এক্সরে ফিল্ম নেই Logo দৌলতপুরে জামায়াতের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo মধুখালীতে শয়তানের নিঃশ্বাস পার্টি চক্রের দুই সদস্য আটক Logo রায়পুরায় তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ Logo ১৬ বছর বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনের বীজ বপন করেছে বিধায় হাসিনার পতন হয়েছেঃ-মাহবুবের রহমান শামীম Logo লালপুরে জামাতের ইফতার মাহফিল Logo সুদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যেম সকল ষড়যন্ত্র মুছতে হবেঃ -হারুন অর রশীদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এখন আর নামাজ আদায় হয় না যে মসজিদে

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ওয়াক্তিয়া মসজিদটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একসময় এখানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত নামাজ আদায় করলেও এখন এটি একেবারে পরিত্যক্ত। সংস্কারের অভাবে মসজিদটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে অবস্থিত এই মসজিদটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইটের তৈরি মসজিদটির টিনের চালা, জানালা-দরজা সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইটসুড়কি। বিশালাকৃতির একটি গাছ হেলে আছে টিনের চালার ওপরে।

 

জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে স্থাপিত প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে তাই সাড়ে ৩০০ ছেলে এবং ১৫০ মেয়ে শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে।

 

এ সময় কথা হয় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় ৩০ বছর আগে আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতাম। তবে এখন এটি একেবারেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মসজিদের জানালা-দরজা টিনের চালা সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদের আশপাশেও আগাছায় ভরে গেছে। এটি সংস্কার করা হলে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবার নামাজ পড়ার সুযোগ পেতো।’

 

মিরপুর পাইলট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আছাদুর রহমান বাবু বলেন, ‘একসময় এই ওয়াক্তিয় মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হতো। এখানে আমাদের অনেকেই নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটিকে সংস্কার করে পুনরায় নামাজের ব্যবস্থা করা হলে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী এখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন।’

 

মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলী বলেন, ‘মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে অবস্থিত মসজিদটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি যোগদানের পর এটিকে সংস্কারের চেষ্টা করেছি কিন্তু অর্থাভাবে সেটি সম্ভব হয়নি। যদি অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় তাহলে এটাকে সংস্কার করে পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গলকোটে মঙ্গলচণ্ডী পুজোয় পুলিশের জলছত্র

error: Content is protected !!

এখন আর নামাজ আদায় হয় না যে মসজিদে

আপডেট টাইম : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপাের্টার :

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ওয়াক্তিয়া মসজিদটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একসময় এখানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত নামাজ আদায় করলেও এখন এটি একেবারে পরিত্যক্ত। সংস্কারের অভাবে মসজিদটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে অবস্থিত এই মসজিদটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ইটের তৈরি মসজিদটির টিনের চালা, জানালা-দরজা সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইটসুড়কি। বিশালাকৃতির একটি গাছ হেলে আছে টিনের চালার ওপরে।

 

জানা গেছে, ১৯৪৪ সালে স্থাপিত প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে তাই সাড়ে ৩০০ ছেলে এবং ১৫০ মেয়ে শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে।

 

এ সময় কথা হয় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, ‘এখানে প্রায় ৩০ বছর আগে আমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতাম। তবে এখন এটি একেবারেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মসজিদের জানালা-দরজা টিনের চালা সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদের আশপাশেও আগাছায় ভরে গেছে। এটি সংস্কার করা হলে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবার নামাজ পড়ার সুযোগ পেতো।’

 

মিরপুর পাইলট স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আছাদুর রহমান বাবু বলেন, ‘একসময় এই ওয়াক্তিয় মসজিদটিতে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হতো। এখানে আমাদের অনেকেই নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটিকে সংস্কার করে পুনরায় নামাজের ব্যবস্থা করা হলে শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী এখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন।’

 

মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলী বলেন, ‘মিরপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে অবস্থিত মসজিদটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি যোগদানের পর এটিকে সংস্কারের চেষ্টা করেছি কিন্তু অর্থাভাবে সেটি সম্ভব হয়নি। যদি অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় তাহলে এটাকে সংস্কার করে পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।’


প্রিন্ট