বাদশাহ মিয়াঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এসিল্যান্ডকে বাঁচাতে মানববন্ধন করেছে বালু ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ভূমিদস্যু। সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনের কারণে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগীদের মাঝে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও জলিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রিমন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা, জলিরপাড়ের মধুমতি নদ (মাদারীপুর বিলরুট ক্যানেল) থেকে বালু উত্তোলনের আতাতের অভিযোগে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় একটি মহল স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মানববন্ধন করে।
এ বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘হাট-বাজারের ভূমি বন্দোবস্ত পেতে এসিল্যান্ডের সেলামী আড়াই লাখ টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে বালু ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ভূমিদস্যু মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জিএম ফারুক মিনা, কাইয়ুম সিকদার, আল আমিন চোকদার, সুরেশ বৈরাগী, হিরু মিয়া শেখ, খলিল শেখ, আলী আজগর, সামাদ সরদার, আসাদ মিয়া, চৈতন্য বিশ্বাস প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানায়, এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এ্যাসিল্যান্ডকে বাঁচাতে কেন বালু ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুরা মানববন্ধন করবেন, এটা আমরা বুঝতে পারি না। অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনের খবর কিছু ভুঁইফোঁড় সংবাদ মাধ্যমে ছাপিয়েছে সুবিধা ভোগকারী সাংবাদিক।
উল্লেখ্য, এসিল্যান্ড মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা গত ২৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের স্মারক পত্রে জানান, নদী থেকে বালু কাটা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ ও সাংবাদিকদের মাঝে স্মারক লিপি প্রদান করে সাংবাদিকদের সাথে থাকার আহবান জানান। তবে কাগজে কলমে তিনি যেটা করেন, বাস্তবে তার উল্টো চিত্র ফুটে উঠেছে।
প্রিন্ট