রাশেদ শরীফঃ
মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে দুলাভাই বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আট বছরের এক কন্যা শিশু। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমান শিশুটির অবস্থা আশংকা জনক। শিশুটির বোনের শশুর হিটু শেখ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী হিটু শেখের বাড়িতে তান্ডব চালায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সুস্থ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে, এমন আশ্বাসে এলাকাবাসী শান্ত হয়। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের ৩য় শ্রেণীর ওই শিশু কয়েক দিন আগে বোন বাড়ি সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি মাঠপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। আসার পর থেকেই বোনের শশুর লম্পট হিটু শেখের বদ নজরে পড়ে শিশুটি দিকে। বুধবার রাতে শিশুটি তার বোন জামাই এর ঘরেই ঘুমিয়ে থাকলে ভোর রাতে কোন এক সময় শিশুটির গলা চেপে ধর্ষন করে। সকালে তার রক্তাত্ব অবস্থায় অচেতন দেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। শরীরে খাচুনি ওঠায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শিশুটির গলায় দাগ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে নখের আচড়ের দাগ এবং ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে।
শিশুটির বোন জানায়, চার পাঁচ মাস আগে আমার বিয়ের পর থেকেই আমার শ্বশুর হিটু শেখ সুযোগ পেলে আমাকেও বিভিন্ন সময় উত্তোক্ত করতো। যার কারণে তিনি শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। পারিবারিক ভাবে বুঝিয়ে পরিবার থেকে আবার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির বোন এবং এলাকাবাসী জানায়, শুধু এই শিশুটি নয়; হিটু শেখ এর আগেও এলাকায় এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সময়ের প্রত্যাশার কাছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মেয়েটি এখন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তবে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ বিদ্যমান, কে করলো এমন জঘন্যতম কাজ ? বাপ না ছেলে? বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠছে একে অপরের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে আমরা এবং সেনাবাহিনী ঘটনা স্থান এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। অভিযুক্ত হিটু শেখকে গ্রেপ্তার করেছি।
মাগুরা পুলিশ সুপার আরো জানান ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীকে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং পরবর্তীতে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধী ব্যক্তির নাম প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানানো হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রিন্ট