মোঃ আলম মৃধাঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী পৌর এলাকার উত্তর বিরামপুর, টাটাপাড়া, নওপাড়া মহল্লাসহ আশপাশ এলাকার ৭/৮ গ্রামের পাঁচশত মানুষের স্বাক্ষর দিয়ে টাটাপাড়ায় অবস্হিত ডঃ রফিকুল ইসলাম খান হাসপাতালকে জনস্বার্থে সরকারি হাসপাতালে রুপান্তরের দাবীতে নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবর চার মার্চ ও সিভিল সার্জন বরাবর এক মার্চ লিখিত আবেদন করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (LGRD) দ্বিতীয় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের অধীনে ২০১২ সালে মাধবদীতে ড. রফিকুল ইসলাম খান হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শেষ করে। হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য মাধবদী পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মাধবদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাহাদের আয়ের উৎস হইতে হাসপাতালটি পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হয়।
অত্র এলাকার সমাজ সেবক ডঃ রফিকুল ইসলাম খান আঙ্গুর সাহেব নামে এক ব্যাক্তী হাসপাতালের জন্য জমি টি দান করেছিলেন। ঐসময় শর্ত দিয়েছিলেন হাসপাতালের নাম হবে ডঃ রফিকুল ইসলাম খান হাসপাতাল। পরে ঐ জমিতে বিদেশি অনুদান ও সরকারি খরচে ডঃ রফিকুল ইসলাম খান হাসপাতালটি নির্মিত হয়। হাসপাতালটিতে সেবা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় স্বল্প আয়ের জনগণ মান সম্মত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করার কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি।
সরকারি খরচে নির্মিত ডঃ রফিকুল ইসলাম খান হাসপাতালটি ৬তলা বিশিষ্ট, আনুমানিক ৩০ হাজার বর্গফুট ফ্লোর স্পেস, যাহাতে ৩০ জনেরও বেশি রোগীর শয্যা সংকুলানসহ লিফট, অপারেশন থিয়েটার, ইনকুবেটর, প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি, এ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার বসার রুম, অফিস রুম, অভ্যর্থনা রুম, সিকিউরিটি রুম, গাড়ী পার্কিং ব্যবস্থা ইত্যাদি রহিয়াছে।
মাধবদী এলাকায় অনেকগুলি প্রাইভেট হাসপাতাল থাকলেও কোন চলমান সরকারি জেনারেল হাসপাতাল না থাকায় এলাকার সাধারণ জনগণ, স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিতে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া অতীব যন্ত্রণা দায়ক বিষয় হইল সরকারী ভাবে নির্মিত উক্ত হাসপাতালটি প্রাইভেট হাসপাতালে রুপান্তর ও আত্নসাতের অপচেষ্টায় একটি অশুভ শক্তি বিগত কয়েক বছর যাবত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ডঃ রফিকুল ইসলাম খান হাসপাতাল নামক সরকারী প্রতিষ্ঠানটিকে জনস্বার্থে একটি পুরোপুরি সরকারি সাধারণ হাসপাতালে রুপান্তরের নিমিত্তে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ন্যাস্ত করিয়া এলাকাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানান, এলাকার খেটে খাওয়া গরিব, দুঃখী, অসহায় সাধারণ মানুষ।
প্রিন্ট