ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোপালগঞ্জে সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ Logo রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক দুর্গাপুর উপজেলা নতুন কমিটি ঘোষণা Logo দিনাজপুরে ৬০০ পিচ ইয়াবা সহ ২ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার Logo বাঘায় বিদুৎস্পর্শে এক নারীর মৃত্যু ! Logo কুষ্টিয়ায় সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ, কারাগারে দেবর Logo ভেড়ামারায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo যশোরে ভালো কাজে পুরস্কৃত হলেন পুলিশ সদস্য সোহেল রানা Logo সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান দুই ভাইয়ের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ Logo যশোর জেলা স্কুলে দশতলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo যশোর এম এম কলেজে শিক্ষক পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর ও অভিষেক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উদ্ধার হলো ‘ভুল বিকাশ নম্বরে’ পাঠানো টাকা

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

বিদেশ থেকে বিকাশে পাঠানো টাকা ভুল নম্বরে চলে যাওয়ার পর সেই টাকা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে ইউনিয়নটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক। উদ্ধার হওয়া ৩০ হাজার ৬০০ টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক ও উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী। সোমবার (০৩ মার্চ) ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করে পুরো টাকা উদ্ধার করে নিজ দায়িত্বে প্রকৃত মালিক সাজনারা বেগম ওরফে নাজমার বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ওমান প্রবাসী সেলিম আহমেদ এর নিকট থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার জন্য ওই প্রবাসীর চাচী নাজমা বেগম তার বিকাশ নম্বর দেন। সেই বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার ৬০০ টাকা পাঠান ওই প্রবাসী। টাকা পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চাচীর মোবাইলে কল দিলে তিনি (চাচী) জানান টাকা আসেনি। বিকাশ নম্বর চেক করে জানতে পারেন চাচীর পাঠানো বিকাশ নম্বরটির একটা ডিজিট ভুল ছিল। যার কারণে অন্য নম্বরে সেই টাকা চলে গেছে।

 

নাজমা বেগম বিষয়টি এলাকার শাহানুর জালালকে জানানোর পর তিনি (শাহানুর জালাল) সেই ভুল নাম্বারে কল দিয়ে বলেন ভুলক্রমে তার বিকাশ নম্বরে টাকা গেছে। ওই লোক সাথে সাথেই মোবাইল বন্ধ করে দেন। অনেক চেষ্টা করেও ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে শাহানুর জালাল তার ভাতিজা স্থানীয় স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক মিলাদ আহমেদকে জানান।

 

মুঠোফোনে কথা হলে মিলাদ আহমেদ জানান, আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি তাৎক্ষণিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য খুঁজে বের করে জানতে পারেন- লোকটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরে ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলীর সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিস্তারিত বিষয়টি বলেন। তখন তিনি একটা ব্যবস্থা হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “প্রতিটা এলাকার জন্য জনপ্রতিনিধির দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীল, সৎ, সাহসী অফিসার গর্বের।”

 

নাজমা বেগম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ঢলচানপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল উদ্দীনের স্ত্রী। তার মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, “আমি ভাবতেই পারিনি সেই টাকা ফিরে পাবো। ইউনিয়নের প্রশাসকসহ যারা আমার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।”

 

মঙ্গলবার কথা হলে, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী জানান, নাম ঠিকানা জানানোর পর তিনি ওই ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে বলেন, “আপনার বিকাশ নম্বরে ভুলক্রমে একজনের টাকা এসেছে।” পরে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন এবং পুরো টাকাই ফেরত দেন। সেই টাকা নিজ হেফাজতে নিয়ে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছি।

 

বাঘা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, “জনসেবায় দায়িত্ব পালনে তিনি যে পরিশ্রম করে চলেছেন, তার অংশ মাত্র এই মহৎ কাজটি। তার কাজে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ

error: Content is protected !!

উদ্ধার হলো ‘ভুল বিকাশ নম্বরে’ পাঠানো টাকা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

বিদেশ থেকে বিকাশে পাঠানো টাকা ভুল নম্বরে চলে যাওয়ার পর সেই টাকা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে ইউনিয়নটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক। উদ্ধার হওয়া ৩০ হাজার ৬০০ টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক ও উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী। সোমবার (০৩ মার্চ) ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করে পুরো টাকা উদ্ধার করে নিজ দায়িত্বে প্রকৃত মালিক সাজনারা বেগম ওরফে নাজমার বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

 

জানা গেছে, ওমান প্রবাসী সেলিম আহমেদ এর নিকট থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার জন্য ওই প্রবাসীর চাচী নাজমা বেগম তার বিকাশ নম্বর দেন। সেই বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার ৬০০ টাকা পাঠান ওই প্রবাসী। টাকা পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চাচীর মোবাইলে কল দিলে তিনি (চাচী) জানান টাকা আসেনি। বিকাশ নম্বর চেক করে জানতে পারেন চাচীর পাঠানো বিকাশ নম্বরটির একটা ডিজিট ভুল ছিল। যার কারণে অন্য নম্বরে সেই টাকা চলে গেছে।

 

নাজমা বেগম বিষয়টি এলাকার শাহানুর জালালকে জানানোর পর তিনি (শাহানুর জালাল) সেই ভুল নাম্বারে কল দিয়ে বলেন ভুলক্রমে তার বিকাশ নম্বরে টাকা গেছে। ওই লোক সাথে সাথেই মোবাইল বন্ধ করে দেন। অনেক চেষ্টা করেও ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে শাহানুর জালাল তার ভাতিজা স্থানীয় স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক মিলাদ আহমেদকে জানান।

 

মুঠোফোনে কথা হলে মিলাদ আহমেদ জানান, আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি তাৎক্ষণিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য খুঁজে বের করে জানতে পারেন- লোকটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরে ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলীর সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিস্তারিত বিষয়টি বলেন। তখন তিনি একটা ব্যবস্থা হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “প্রতিটা এলাকার জন্য জনপ্রতিনিধির দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীল, সৎ, সাহসী অফিসার গর্বের।”

 

নাজমা বেগম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ঢলচানপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল উদ্দীনের স্ত্রী। তার মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, “আমি ভাবতেই পারিনি সেই টাকা ফিরে পাবো। ইউনিয়নের প্রশাসকসহ যারা আমার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।”

 

মঙ্গলবার কথা হলে, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী জানান, নাম ঠিকানা জানানোর পর তিনি ওই ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে বলেন, “আপনার বিকাশ নম্বরে ভুলক্রমে একজনের টাকা এসেছে।” পরে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন এবং পুরো টাকাই ফেরত দেন। সেই টাকা নিজ হেফাজতে নিয়ে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছি।

 

বাঘা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, “জনসেবায় দায়িত্ব পালনে তিনি যে পরিশ্রম করে চলেছেন, তার অংশ মাত্র এই মহৎ কাজটি। তার কাজে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।”


প্রিন্ট