রবিউল ইসলাম রুবেলঃ
কখনো ইন্টার্ন ডাক্তার, কখনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, কখনো হাসপাতালের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করা তার নেশা এবং পেশা। সুদর্শন ওই যুবক ফেসবুক ওয়ালে নিজের বিভিন্ন রং -ঢং এর ছবি পোস্ট করে আকৃষ্ট করে নারীদের।
স্বভাব সুলভ ভাবেই টার্গেট করে ফরিদপুরের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী কে। পরবর্তীতে সম্পর্ক তৈরি করে ধর্ষণ করে ওই মেয়েকে এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পরবর্তীতে একাধিকবার ধর্ষণ করে । উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী ফরিদপুর নারী শিশু আদালতে রিওনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। (মামলা নং ২৮ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪)।
মামলার খবর জানতে পেরে আত্মগোপনে চলে যায় রিওন। কিন্তু বিধিবাম, শনিবার ( ১লা মার্চ) র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব ১০ এর একটি চৌকস দল তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে।
রিওন ফরিদপুর সদর উপজেলার বারখাদা গ্রামের আমজাদ খার ছেলে। মামলার বাদি বলেন” রিওন শুধুমাত্র আমারই সর্বনাশ করেনি আমার জানামতে সাকিবা, যারা, রিমি, মারিয়া, মেঘলা, সহ আরো অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে”।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আহাদ বলেন, আসামি অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। তার জব্দকৃত মোবাইল ঘেঁটে বুঝতে পেরেছি অনেক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক। তার কাছ থেকে জব্ধকৃত আলামত ঢাকা সিআইডি ফরেন্সিক বিভাগে পাঠানো হবে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
প্রিন্ট