ঢাকা , শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে সরকারি জমির দেড়লাখ টাকার মেহেগুনী গাছ কেটে নিলেন আ’লীগ নেতা

রবিউল ইসলাম রুবেলঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ওয়ালিউর রহমানের বিরুদ্ধে এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকা সমমূল্যের মেহেগুনী গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার (১মার্চ) উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সুতালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ওয়ালউর রহমান টোংরাইল কালিনগর সড়কের পাশ থেকে এলজিইডির প্রায় দেড়লাখ টাকার মেহেগুনী গাছ কেটে নিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যমে জানা গেছে প্রায় ১ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। বাকি ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের গাছ নিজের বাড়ির ফার্ণিচার বানাতে বাড়ির সামনে স্তুপ করে রেখেছে। এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে গাছ গুলো কেটে গাছের গোড়ায় খড়কুটোর দিয়ে ঢেকে রেখেছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান ও তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের আমলে সরকারি রাস্তার পাশ থেকে এলজিইডির লাগানো লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। এবার আওয়ামীলীগের সরকার পতনের পরেও তিনি কোন বলে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করে। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান দাবী করেন ওই গাছ তার লাগানো। তবে ওই গাছ সরকারি হয়ে গিয়েছে। আমার লাগানো বিধায় গাছ গুলো কেটে নিয়েছি। তবে এ গাছ কাটার বিষয়ে আমি এ্যসিল্যান্ড অফিসে আবেদন করেছি। তবে তারা এখনো অনুমতি দেয়নি। শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকার কারণে তড়িঘড়ি করে গাছ গুলো কেটে ফেলেছি। এটা আমার ভূল হয়েছে। আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন।

 

ইউনিয়ন আ. লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়ালিউর রহমানের ছেলে সৈয়দ ফজলুর রহমান বলেন, এভাবে গাছ গুলো কাটা আমাদের ভূল হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় চারদল সাংবাদিক এসে টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। ভাই আমাদের সম্মান আছে এ নিয়ে নিউজ-টিউজ করেননা। আপনারাও কিছু টাকা নিয়ে যান।

 

এলজিইডি প্রকৌশলী পূর্ণেন্দু সাহা বলেন, সরকারি অর্থায়ণে এলজিইডি রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধণে রাস্তার পাশে নানা প্রজাতের কাঠ ও ফলজ গাছ রোপণ করা হয়। সেটার দেখা শোনা করবে স্থানীয় লোকজন। তবে গাছ কাটার বিষয় আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, এই গাছ বন বিভাগের না। সম্ভবত এলজিইডির গালানো গাছ। উপজেলা থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। লোকেশান দিন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে সরকারি জমির দেড়লাখ টাকার মেহেগুনী গাছ কেটে নিলেন আ’লীগ নেতা

আপডেট টাইম : ৫ ঘন্টা আগে
রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

রবিউল ইসলাম রুবেলঃ

 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ওয়ালিউর রহমানের বিরুদ্ধে এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকা সমমূল্যের মেহেগুনী গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার (১মার্চ) উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের সুতালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ ওয়ালউর রহমান টোংরাইল কালিনগর সড়কের পাশ থেকে এলজিইডির প্রায় দেড়লাখ টাকার মেহেগুনী গাছ কেটে নিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যমে জানা গেছে প্রায় ১ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। বাকি ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের গাছ নিজের বাড়ির ফার্ণিচার বানাতে বাড়ির সামনে স্তুপ করে রেখেছে। এলজিইডি রাস্তার পাশ থেকে গাছ গুলো কেটে গাছের গোড়ায় খড়কুটোর দিয়ে ঢেকে রেখেছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান ও তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের আমলে সরকারি রাস্তার পাশ থেকে এলজিইডির লাগানো লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। এবার আওয়ামীলীগের সরকার পতনের পরেও তিনি কোন বলে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করে। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সৈয়দ ওয়ালিউর রহমান দাবী করেন ওই গাছ তার লাগানো। তবে ওই গাছ সরকারি হয়ে গিয়েছে। আমার লাগানো বিধায় গাছ গুলো কেটে নিয়েছি। তবে এ গাছ কাটার বিষয়ে আমি এ্যসিল্যান্ড অফিসে আবেদন করেছি। তবে তারা এখনো অনুমতি দেয়নি। শনিবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকার কারণে তড়িঘড়ি করে গাছ গুলো কেটে ফেলেছি। এটা আমার ভূল হয়েছে। আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন।

 

ইউনিয়ন আ. লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়ালিউর রহমানের ছেলে সৈয়দ ফজলুর রহমান বলেন, এভাবে গাছ গুলো কাটা আমাদের ভূল হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় চারদল সাংবাদিক এসে টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। ভাই আমাদের সম্মান আছে এ নিয়ে নিউজ-টিউজ করেননা। আপনারাও কিছু টাকা নিয়ে যান।

 

এলজিইডি প্রকৌশলী পূর্ণেন্দু সাহা বলেন, সরকারি অর্থায়ণে এলজিইডি রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধণে রাস্তার পাশে নানা প্রজাতের কাঠ ও ফলজ গাছ রোপণ করা হয়। সেটার দেখা শোনা করবে স্থানীয় লোকজন। তবে গাছ কাটার বিষয় আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, এই গাছ বন বিভাগের না। সম্ভবত এলজিইডির গালানো গাছ। উপজেলা থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। লোকেশান দিন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।


প্রিন্ট