ঢাকা , শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুমারখালী পদ্মা নদীতে জেলের জালে গৃহবধূর মরদেহ ভেসে ওঠে

-ছবিঃ প্রতীকী।

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পদ্মা নদীতে জেলের জালে গৃহবধূর মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে কুমারখালী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

নিহত আঞ্জুমান মায়া (২৩) কালুয়া গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী এলাকায়।

 

জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালুয়া ফকিরপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মায়া। শনিবার (১ মার্চ) সকালে পদ্মা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহতের স্বামী আসিফ শেখ বলেন, “শুক্রবার আমার জন্মদিন ছিল। সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জন্মদিন উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান উদযাপন করি। এরপর রাত ১০টার দিকে আমি ও আমার স্ত্রী ঘুমাতে যাই। পরে রাত ১২টার দিকে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় আমি তাকে পাইনি। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে খবর শুনতে পাই আমাদের বাড়ির পাশে নদীতে জেলের জালে তার লাশ উঠেছে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে আমি ধারণা করতে পারছি না।”

 

গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে পদ্মায় নিয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।

 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, “সংবাদ পেয়ে পদ্মা নদী থেকে আঞ্জুমান মায়া নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুমারখালী পদ্মা নদীতে জেলের জালে গৃহবধূর মরদেহ ভেসে ওঠে

আপডেট টাইম : ৬ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পদ্মা নদীতে জেলের জালে গৃহবধূর মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে কুমারখালী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

নিহত আঞ্জুমান মায়া (২৩) কালুয়া গ্রামের আসিফ শেখের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী এলাকায়।

 

জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালুয়া ফকিরপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মায়া। শনিবার (১ মার্চ) সকালে পদ্মা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহতের স্বামী আসিফ শেখ বলেন, “শুক্রবার আমার জন্মদিন ছিল। সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জন্মদিন উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান উদযাপন করি। এরপর রাত ১০টার দিকে আমি ও আমার স্ত্রী ঘুমাতে যাই। পরে রাত ১২টার দিকে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় আমি তাকে পাইনি। পরে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে খবর শুনতে পাই আমাদের বাড়ির পাশে নদীতে জেলের জালে তার লাশ উঠেছে। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে আমি ধারণা করতে পারছি না।”

 

গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে পদ্মায় নিয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।

 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, “সংবাদ পেয়ে পদ্মা নদী থেকে আঞ্জুমান মায়া নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”


প্রিন্ট