মোঃ ফিরোজ আলমঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার তিলাহারী গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে নিখোঁজ আব্দুল মালেক (৪২) এর লাশ উদ্ধার করেছেন মোহনপুর থানা পুলিশ।
মৃত মালেকের আপন বড় ভাই খোরশেদ আলম বলেন, মঙ্গলবার (২৫ শে ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ আমাদেরকে ফোন দিয়ে জানায় নিখোঁজ মালেকের লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। আপনারা উপজেলার রায়ঘাটি ইউপির হাটরা বড় আম বাগানে চলে আসেন। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছোট ভাইয়ের লাশ আমবাগানের একটি পুকুরে পানির ভিতরে ভাসমান রয়েছে। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ব্যাটারি চালিত অটো গাড়ি পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ লাশ পানি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা থেকে আব্দুল মালেক নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন তার স্ত্রী কাজল বাদি হয়ে নিখোঁজ মালেকের সন্ধান চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ মালেক পেশায় ব্যাটারি চালিত অটো গাড়ি চালক ছিলেন। শুক্রবার সন্ধায় ভাড়া মারার উদ্যোশ্যে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মালেকের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের পর থেকে মালেকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজি করার পরেও তাকে না পেয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী মোহনপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার জিডি নং ১১০৬, তারিখ: ২২-০২-২০২৫ ইং।
মোহনপুর থানায় সরজমিনে গিয়ে মামলা’র তদন্তকারী অফিসার এস আই আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উক্ত নিখোঁজ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তারিখ ও সময় ২১-০২-২২২৫ তারিখ সন্ধা ৬ হতে ২৫-০২-২০২৫ তারিখ দুপুর ১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত যেকোনো সময়ের মধ্যে কে বা কাহারা হত্যা করে ৩নং রায়ঘাটি ইউনিয়ানাধীন হাটারা-বড়াইলের আম বাগানের নির্জন পুকুরে গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে রেখে যায়, মর্মে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী কাজল বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন, মোহনপুর থানার মামলা নং ১৭। তারিখ ২৫-০২-০২৫ ইং। তদন্তকারী অফিসার লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ফরেনসিক বিভাগে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে মালেককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা রজু হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হেলেনা আক্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি জানান, মোহনপুর থানা পুলিশ ভিকটিম মৃত আব্দুল মালেকের লাশ টি পুকুর হইতে উদ্ধার করে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের মর্গে ফরেনসিক বিভাগে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
প্রিন্ট