করোনা মহামারীতে চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ধস নেমেছে। প্রথমদিকে ঘরভাড়াসহ নানা খরচের বিষয়টি মাথায় রেখে সীমিত পরিসরে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা রাখলেও এবারে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের কারণে কাস্টমার সংকট এবং জরিমানার জালে আটকে পড়ার আশঙ্কায় পাংশা শহরের অধিকাংশ হোস্টেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।
এতে কর্মহীন হয়ে অর্থ সংকটে পড়েছেন হোটেলের কর্মচারীরা। মালিকপক্ষ বলছেন, বাধ্য হয়েই হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছে। হোটেল বন্ধ থাকলেও ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ আনুসঙ্গিক খরচ থেকে তারা রেহাই পাচ্ছেন না। কর্মচারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন হোটেল-রেস্টুরেন্টে কাজ করে এখন অন্য পেশায় কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থসংকটে হোটেল কর্মচারীরা।
জানা যায়, পাংশা শহরে সকাল-সন্ধ্যা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, অন্তর হোটেল এন্ড ফাস্ট ফুড, রাঁধুনী হোটেল এন্ড সুইটস, চন্দনা সুইটস এন্ড বিরিয়ানী, বসুন্ধরা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, মুসলিম হোস্টেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, নাঈম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, তালহা সুইটস, ভাইভাই মিষ্টান্নসহ বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
এর মধ্যে গত ১জুলাই থেকে সকাল-সন্ধ্যা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, অন্তর হোটেল এন্ড ফাস্ট ফুড ও রাঁধুনী হোটেল এন্ড সুইটসসহ কয়েকটি হোটেল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমিত পরিসরে সিরাজের হোটেল, বসুন্ধরা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ও তালহা সুইটস প্রভৃতি খোলা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হোটেল ব্যবসায়ী ও কর্মচারী জানান, করোনা মহামারীতে চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ধস নেমেছে। নানা সংকট ও সংশয়ের কথা উল্লেখ করেন তারা।
পাংশায় লকডাউনের মধ্যে অধিকাংশ হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে।
প্রিন্ট