ঢাকা , বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও ২ নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, বাসসহ আটক ৩ জন

আমিরুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

 

যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে বাসটি আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে।

 

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বাসটি জব্দ করে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা হতে টাঙ্গাইল মির্জাপুর এলাকায় ইউনিক রোড রয়েল্স (ময়মনসিংহ ব ১১-০০৬১) নামে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনাটি টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানা পুলিশ বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ বাসটি আটক করে ও ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলম (২৮)কে আটক করে।

 

আটককৃত বাবলু রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে, সুপারভাইজার সুমন সাধুর মোড় গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও হেলপার মাহবুব পূর্ব কাঠালিয়া গ্রামের আঙ্গুর মন্ডলের ছেলে।

 

মজনু আকন্দ নামের এক যাত্রী জানান, সোমবার রাত ১১ টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ড হতে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় ইউনিক রোড রয়েল্স নামের বাসটি। কিছুক্ষন পর আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র চাকু, ছুরি এবং পিস্তল নিয়ে বাসের চালক সহ সকলকে জিম্মি করে।

 

এ সময় বাসের ৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ওই যাত্রী আরও বলেন, বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। কিন্তু তাদের কোন ভুমিকা না থাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানামোড় এলাকায় পৌঁছালে চারজন যাত্রী বাসটি আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ বাস সহ ৩ জনকে আটক করে।

 

ওমর আলী নামের যাত্রী জানান, ডাকাতির ঘটনায় চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।

 

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। বাস যাত্রীরা তিনজনকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও ২ নারী যাত্রীকে ধর্ষণ, বাসসহ আটক ৩ জন

আপডেট টাইম : ০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আমিরুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :

আমিরুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

 

যাত্রীবাহি বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে বাসটি আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে।

 

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বাসটি জব্দ করে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা হতে টাঙ্গাইল মির্জাপুর এলাকায় ইউনিক রোড রয়েল্স (ময়মনসিংহ ব ১১-০০৬১) নামে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনাটি টাঙ্গাইল মির্জাপুর থানা পুলিশ বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ বাসটি আটক করে ও ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলম (২৮)কে আটক করে।

 

আটককৃত বাবলু রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে, সুপারভাইজার সুমন সাধুর মোড় গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও হেলপার মাহবুব পূর্ব কাঠালিয়া গ্রামের আঙ্গুর মন্ডলের ছেলে।

 

মজনু আকন্দ নামের এক যাত্রী জানান, সোমবার রাত ১১ টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ড হতে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় ইউনিক রোড রয়েল্স নামের বাসটি। কিছুক্ষন পর আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র চাকু, ছুরি এবং পিস্তল নিয়ে বাসের চালক সহ সকলকে জিম্মি করে।

 

এ সময় বাসের ৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা এলাকার ফাঁকা স্থানে নেমে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ওই যাত্রী আরও বলেন, বিষয়টি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অবগত করা হয়। কিন্তু তাদের কোন ভুমিকা না থাকায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানামোড় এলাকায় পৌঁছালে চারজন যাত্রী বাসটি আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ বাস সহ ৩ জনকে আটক করে।

 

ওমর আলী নামের যাত্রী জানান, ডাকাতির ঘটনায় চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে।

 

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। বাস যাত্রীরা তিনজনকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রিন্ট