ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo কৃষকের জমিতে বেড়া দিতে আ.লীগ নেতার ‘বাঁধা ও মারধর’ Logo যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ২০ লাখ টাকাসহ ঢাকা বিমানবন্দরে আটক, অতঃপর মুক্ত Logo তানোরে মামলাবাজ হিটলুর দৌরাত্ম্যে গ্রামবাসি অতিষ্ঠ Logo আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo নাজির শাহীনের হাতে আলাদিনের চেরাগ ! Logo গোপালগঞ্জে অবৈধভাবে বালু কাটা বন্ধ হওয়ায় প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা Logo নারীদের স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে এলাকার উন্নয়ন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ Logo আড়ানী পৌরসভার রুস্তমপুর হাট ও বাজার পুনঃ ইজারা প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে ব্রিজের নাকাল অবস্থাঃ এলাকাবাসীর চলাচলে সমস্যা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি গ্রামীণ ব্রিজের নাকাল অবস্থা হয়ে রয়েছে। এতে এলাবাসীর চলাচলে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের তামারহাজী গ্রামের দক্ষিণপাড়া শিকদার বাড়ি খাল পাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস।

আর তাদের যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ স্থল এই ব্রিজটি। তার পরেও সেখানে গড়ে উঠেছে একটি জামে মসজিদ। সেখানে নামাজ পরতে আসা মুসল্লী, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে ওই ব্রিজ দিয়ে।

জানা গেছে এ ব্রিজের ওপর থেকে মটর সাইকেল, ধানের হুগলী মেশিন, ও বাই সাইকেল নিয়ে পথ যাত্রীরা ব্রিজ থেকে নিচে পরে দূর্ঘটার শিকার হয়েছে বহুবার।

স্থানীয় লোকজন এ বিষয় নিয়ে ভোরের দর্পণের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা দেখে আসছি। এই মহল্লায় ৫ হাজার মানুষের বসবাসস্থল রয়েছে। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে মেম্বার চেয়ারম্যানের ধর্ণা ধরেও এ ব্রিজটা বাজেট করতে পারিনি। পরে নিজেদের উদ্যোগে লোহা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ব্রিজটি তৈরী করি।

তবে মিশকাত হোসেন চেয়ারম্যান থাকা কালিন, তিনি সংস্কারের জন্য কিছু অর্থ দিয়ে ছিলেন। সে কারণে ব্রিজটি অনেক বছর যাবত ভালোই ব্যবহার করে আসছিলেন। তবে বর্তমানে ব্রিজটা একেবারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারে ভোকান্তির যেন শেষ নেই। কখন যে পথচারীদের নিয়ে ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটবে কে জানে।

তারা আরো বলেন, আর কত দৌড়াতে হবে এ ব্রিজের দাবি নিয়ে; তা আমাদের জানা নেই। পরমেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা বলেন, ওই ব্রিজটা সংস্কার করতে আমি নিজ পকেট থেকে টাকা দিয়েছিলাম। এ ব্রিজ ব্যাক্তিগত এবং দু পাশে রাস্তা নেই তাই কোন প্রকার বাজেট হয়নি। এমন ব্রিজ আমার বাড়ির সামনেও আছে। সেটাই বাজেট হয়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে ব্রিজের নাকাল অবস্থাঃ এলাকাবাসীর চলাচলে সমস্যা

আপডেট টাইম : ০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
এস. এম. রুবেল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি গ্রামীণ ব্রিজের নাকাল অবস্থা হয়ে রয়েছে। এতে এলাবাসীর চলাচলে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের তামারহাজী গ্রামের দক্ষিণপাড়া শিকদার বাড়ি খাল পাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস।

আর তাদের যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ স্থল এই ব্রিজটি। তার পরেও সেখানে গড়ে উঠেছে একটি জামে মসজিদ। সেখানে নামাজ পরতে আসা মুসল্লী, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে ওই ব্রিজ দিয়ে।

জানা গেছে এ ব্রিজের ওপর থেকে মটর সাইকেল, ধানের হুগলী মেশিন, ও বাই সাইকেল নিয়ে পথ যাত্রীরা ব্রিজ থেকে নিচে পরে দূর্ঘটার শিকার হয়েছে বহুবার।

স্থানীয় লোকজন এ বিষয় নিয়ে ভোরের দর্পণের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা দেখে আসছি। এই মহল্লায় ৫ হাজার মানুষের বসবাসস্থল রয়েছে। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে মেম্বার চেয়ারম্যানের ধর্ণা ধরেও এ ব্রিজটা বাজেট করতে পারিনি। পরে নিজেদের উদ্যোগে লোহা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ব্রিজটি তৈরী করি।

তবে মিশকাত হোসেন চেয়ারম্যান থাকা কালিন, তিনি সংস্কারের জন্য কিছু অর্থ দিয়ে ছিলেন। সে কারণে ব্রিজটি অনেক বছর যাবত ভালোই ব্যবহার করে আসছিলেন। তবে বর্তমানে ব্রিজটা একেবারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারে ভোকান্তির যেন শেষ নেই। কখন যে পথচারীদের নিয়ে ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটবে কে জানে।

তারা আরো বলেন, আর কত দৌড়াতে হবে এ ব্রিজের দাবি নিয়ে; তা আমাদের জানা নেই। পরমেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা বলেন, ওই ব্রিজটা সংস্কার করতে আমি নিজ পকেট থেকে টাকা দিয়েছিলাম। এ ব্রিজ ব্যাক্তিগত এবং দু পাশে রাস্তা নেই তাই কোন প্রকার বাজেট হয়নি। এমন ব্রিজ আমার বাড়ির সামনেও আছে। সেটাই বাজেট হয়নি।


প্রিন্ট