ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি গ্রামীণ ব্রিজের নাকাল অবস্থা হয়ে রয়েছে। এতে এলাবাসীর চলাচলে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের তামারহাজী গ্রামের দক্ষিণপাড়া শিকদার বাড়ি খাল পাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস।
আর তাদের যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ স্থল এই ব্রিজটি। তার পরেও সেখানে গড়ে উঠেছে একটি জামে মসজিদ। সেখানে নামাজ পরতে আসা মুসল্লী, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করে ওই ব্রিজ দিয়ে।
জানা গেছে এ ব্রিজের ওপর থেকে মটর সাইকেল, ধানের হুগলী মেশিন, ও বাই সাইকেল নিয়ে পথ যাত্রীরা ব্রিজ থেকে নিচে পরে দূর্ঘটার শিকার হয়েছে বহুবার।
স্থানীয় লোকজন এ বিষয় নিয়ে ভোরের দর্পণের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা দেখে আসছি। এই মহল্লায় ৫ হাজার মানুষের বসবাসস্থল রয়েছে। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে মেম্বার চেয়ারম্যানের ধর্ণা ধরেও এ ব্রিজটা বাজেট করতে পারিনি। পরে নিজেদের উদ্যোগে লোহা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ব্রিজটি তৈরী করি।
তবে মিশকাত হোসেন চেয়ারম্যান থাকা কালিন, তিনি সংস্কারের জন্য কিছু অর্থ দিয়ে ছিলেন। সে কারণে ব্রিজটি অনেক বছর যাবত ভালোই ব্যবহার করে আসছিলেন। তবে বর্তমানে ব্রিজটা একেবারে জীর্ণশীর্ণ হয়ে রয়েছে। এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারে ভোকান্তির যেন শেষ নেই। কখন যে পথচারীদের নিয়ে ব্রিজটি ভেঙ্গে পরে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটবে কে জানে।
তারা আরো বলেন, আর কত দৌড়াতে হবে এ ব্রিজের দাবি নিয়ে; তা আমাদের জানা নেই। পরমেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা বলেন, ওই ব্রিজটা সংস্কার করতে আমি নিজ পকেট থেকে টাকা দিয়েছিলাম। এ ব্রিজ ব্যাক্তিগত এবং দু পাশে রাস্তা নেই তাই কোন প্রকার বাজেট হয়নি। এমন ব্রিজ আমার বাড়ির সামনেও আছে। সেটাই বাজেট হয়নি।
প্রিন্ট