আব্দুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আতাহার এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালক পলাশ হালদারকে হত্যা করে লাশ সরিষাখেতে ফেলে রাখেন হত্যাকারীরা। পরে অটোরিকশাটি ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তারা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযানে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানতে পেরেছে তারা। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অটোরিকশা চালক পলাশ হালদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে। তবে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিল রকি ও জনি। পরে দুই ক্রেতার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাটিও খন্ডিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এতে তাদেরও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার একটি সরিষাখেতে পলাশের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পলাশের গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল। পলাশ হালদার সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালীনগরের শ্রী লাকফর হালদারের ছেলে।
পলাশ হালদারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- কিলিং মিশনে অংশ নেয়া রাজশাহীর তানোর থানার কলমা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে রকি ও রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার কাজলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জনি। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার ক্রেতা তানোর থানার তালন্দ বাজারের মৃত ফয়জুদ্দিন মন্ডলের ছেলে জুয়েল ও নওগাঁর মান্দা থানার চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার আঃ রশিদের ছেলে সানোয়ার হোসেন। পুলিশ সুপার বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে চান। আজ সোমবার গ্রেপ্তারদের আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
প্রিন্ট