ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কাশিয়ানীতে ভুয়া প্রত্যয়ন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা Logo পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জেলা পুলিশের সেহেরী বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরের ‌রথ খোলা পতিতালয় থেকে উদ্ধার হল দুই তরুণীঃ পাচার চক্রের নারী পারু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ Logo ঈশ্বরদীতে কোকেন ব্যবসায়ী আটক Logo নতুন করে পান বরজ নির্মাণ শুরু করেছেন পানচাষীরা Logo মৌসুমে আয় ১০ লাখ টাকাঃ স্ট্রবেরি চাষে সফল পাবনার কৃষক নজরুল ইসলাম Logo বালিয়াকান্দিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানকে মারপিট Logo পাংশায় পুলিশের অভিযানে ১কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার Logo মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজ সহ দুই যুবকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরের পদ্মার চর কৃষকের স্বপ্নের সমাহার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সংসার পেয়ে পুলিশকে যা লিখেছেন অন্তঃসত্ত্বা সেই তরুণী

-ছবিঃ প্রতীকী।

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। এরপরই বেঁকে বসে প্রেমিক। জানিয়ে দেয় তাকে বিয়ে করবে না। বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও বিষয়টির কোনো সুরাহা হচ্ছিল না।  অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মেয়েটির।

শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এআইজি বলেন, মেয়েটি কোনো উপায় না দেখে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সকে তার অসহায়ত্বের কথা জানায়। পুলিশের সহযোগিতা চায় সে। তবে ছেলে বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে চায় তাকে বিয়ে করে সম্মানজনকভাবে ঘরে তুলে নেওয়া হোক।

সোহেল রানা বলেন, এই বার্তা গ্রহণ করে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি থানার ওসি মো. চান মিয়ার কাছে পাঠিয়ে এ বিষয়ে তাকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ওসি ধনবাড়ি ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করেন। ওসি মো. চান মিয়ার অসাধারণ উদ্যোগ ও আয়োজনে এলাকার ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ছেলে ও মেয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ৮ জুন তাদের বিয়ে হয়।

এআইজি বলেন, মেয়েটি বাংলাদেশ পুলিশকে লিখেছে- সব আশা ভরসা যখন শেষ হয়ে গেছে, বাঁচার ইচ্ছা পর্যন্ত শেষ হয়ে গিয়েছিল, মানসিক ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম, সেই মুহূর্তে আপনারা আমাকে নতুনভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। সে আরও লিখেছে, একজন সাধারণ মেয়ের পাশে থেকে, আপনাদের একান্ত প্রচেষ্টায় আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাজার শুকরিয়া জানাই। আপনাদের মানবিক কাজের জন্য আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আপনাদের ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। তবে নামাজ পড়ে দোয়া করব সারাজীবন। বিয়ের পর একাধিকবার মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। কথা হয়েছে তার স্বামীর সঙ্গেও। মেয়েটি জানিয়েছে, খুব ভালো আছে। সর্বশেষ ৭ জুলাই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স। সে জানিয়েছে, তারা উভয়েই ভালো আছে। সুখী দম্পতি হিসেবে সংসার জীবনযাপন করছে।

প্রচলিত পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পক্ষদের মধ্যে মানসিক নৈকট্য তৈরি ও সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানে নানা প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরণ করে থাকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিয়ানীতে ভুয়া প্রত্যয়ন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা

error: Content is protected !!

সংসার পেয়ে পুলিশকে যা লিখেছেন অন্তঃসত্ত্বা সেই তরুণী

আপডেট টাইম : ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। এরপরই বেঁকে বসে প্রেমিক। জানিয়ে দেয় তাকে বিয়ে করবে না। বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও বিষয়টির কোনো সুরাহা হচ্ছিল না।  অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মেয়েটির।

শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এআইজি বলেন, মেয়েটি কোনো উপায় না দেখে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সকে তার অসহায়ত্বের কথা জানায়। পুলিশের সহযোগিতা চায় সে। তবে ছেলে বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে চায় তাকে বিয়ে করে সম্মানজনকভাবে ঘরে তুলে নেওয়া হোক।

সোহেল রানা বলেন, এই বার্তা গ্রহণ করে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি থানার ওসি মো. চান মিয়ার কাছে পাঠিয়ে এ বিষয়ে তাকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ওসি ধনবাড়ি ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করেন। ওসি মো. চান মিয়ার অসাধারণ উদ্যোগ ও আয়োজনে এলাকার ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ছেলে ও মেয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত ৮ জুন তাদের বিয়ে হয়।

এআইজি বলেন, মেয়েটি বাংলাদেশ পুলিশকে লিখেছে- সব আশা ভরসা যখন শেষ হয়ে গেছে, বাঁচার ইচ্ছা পর্যন্ত শেষ হয়ে গিয়েছিল, মানসিক ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম, সেই মুহূর্তে আপনারা আমাকে নতুনভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। সে আরও লিখেছে, একজন সাধারণ মেয়ের পাশে থেকে, আপনাদের একান্ত প্রচেষ্টায় আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাজার শুকরিয়া জানাই। আপনাদের মানবিক কাজের জন্য আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আপনাদের ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। তবে নামাজ পড়ে দোয়া করব সারাজীবন। বিয়ের পর একাধিকবার মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। কথা হয়েছে তার স্বামীর সঙ্গেও। মেয়েটি জানিয়েছে, খুব ভালো আছে। সর্বশেষ ৭ জুলাই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স। সে জানিয়েছে, তারা উভয়েই ভালো আছে। সুখী দম্পতি হিসেবে সংসার জীবনযাপন করছে।

প্রচলিত পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পক্ষদের মধ্যে মানসিক নৈকট্য তৈরি ও সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানে নানা প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার পলিসি অনুসরণ করে থাকে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।