ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেশের কল্যাণে দ্রুত সময়ের ভিতরে নির্বাচন দিনঃ -আমিনুল হক Logo সিরাজগঞ্জে এ.আই. টেকনিশিয়ানদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ রাজস্ব করণ দাবিতে মানববন্ধন Logo গাজীপুর পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত Logo নাটোরে ৫ দফা দাবি নিয়ে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের শিক্ষকগণের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo রাজশাহীতে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের বিক্ষোভ Logo মিরপুর কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন সাংবাদিক মারফত আফ্রিদী Logo কুষ্টিয়ায় পল্লী চিকিৎসক হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন Logo পরীক্ষামূলকভাবে লালপুরে চাষ হচ্ছে ঢেমশি Logo নড়াইল প্রেসক্লাবে আগমন উপলক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতিকে সংবর্ধনা Logo বাঘায় মেলার জন্য ১৯ শর্তে ওয়াকফ্ এষ্টেটের মাঠ ইজারা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর সাময়িক বরখাস্ত

-কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।

ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুষ্টিয়া সদর থানার এক মামলায় এস এম তানভীর আরাফাতকে গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

এ কারণে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে (সাবেক পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া) কুষ্টিয়া সদর থানার মামলায় গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

 

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় তিনি ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পু‌লি‌শের ট্রা‌ফিক বিভা‌গের উপ-ক‌মিশনার ছিলেন। আন্দোল‌নে সাংবা‌দিক‌দের ওপর হামলার অ‌ভি‌যোগও ছি‌ল তার বিরু‌দ্ধে।

 

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুজন মালিথা নিহত হন। এর আগে সুজনকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এনে ওই ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হয়। এতে আসামি হিসেবে মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মালিথার ছেলে সুজন মালিথা (৩২) ছিলেন বিএনপির কর্মী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে দলের কাজ করতেন। এতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের যোগসাজশ এবং উস্কানিতে সুজন মালিথাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তারই জেরে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা সবাই মিলে সুজন মালিথার বাসায় ঢোকে এবং তাকে জোরপূর্বক তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়।

 

পরদিন সকালে সুজনের পরিবার জানতে পারে, পূর্ব শত্রুতার জেরে উল্লিখিত আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সুজন মালিথাকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করেছে। পরে বাদীসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন আসামিদের কাছে উপস্থিত হয়ে সুজন মালিথাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে স্বজনদেরই তাড়িয়ে দেয়।

 

২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় ‘কুমারখালী নাগরিক পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ। সেখানে অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার তৎকালীন এসপি এস এম তানভীর আরাফাত।

 

তিনি তার বক্তব্যে বিরোধী পক্ষগুলোকে ‘তিনটি অপশন’ দেন । তানভীর আরাফাত বলেন, ‘এক. উল্টাপাল্টা করবা হাত ভেঙে দেব, জেল খাটতে হবে। দুই. একেবারে চুপ করে থাকবেন, দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। তিন. আপনার যদি বাংলাদেশ পছন্দ না হয়, তাহলে ইউ আর ওয়েলকাম টু গো ইউর পেয়ারা পাকিস্তান। তার এ বক্তব্য তখন তুমুল আলোচনায় আসে।

 

এসপি তানভীর এক সমাবেশে ‘বালিশ ছাড়া শোওয়াইয়া দেব’ বলেও ঘোষণা দেন, যেটাকে বিচারবহির্ভূত হত্যার হুমকি বলে সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।

 

এমনকি ভেড়ামারায় পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপিতে বাধা দেওয়ায় কর্তব্য পালনরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্চিত করার অপরাধে উচ্চ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল তানভীর আরাফাতকে। ওই ঘটনায় আগে থেকেই তিনি বিভাগীয় শাস্তি (পদায়ন বঞ্চিত) ভোগ করছিলেন।

 

পাঁচ বছর আগে কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ও বিতর্কিত এসপি তানভীর আরাফাতের কারাগারে যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বয়ং আদালত পাড়াতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেকে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের কল্যাণে দ্রুত সময়ের ভিতরে নির্বাচন দিনঃ -আমিনুল হক

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর সাময়িক বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুষ্টিয়া সদর থানার এক মামলায় এস এম তানভীর আরাফাতকে গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

এ কারণে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে (সাবেক পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া) কুষ্টিয়া সদর থানার মামলায় গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

 

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় তিনি ব‌রিশাল মে‌ট্রোপ‌লিটন পু‌লি‌শের ট্রা‌ফিক বিভা‌গের উপ-ক‌মিশনার ছিলেন। আন্দোল‌নে সাংবা‌দিক‌দের ওপর হামলার অ‌ভি‌যোগও ছি‌ল তার বিরু‌দ্ধে।

 

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুজন মালিথা নিহত হন। এর আগে সুজনকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এনে ওই ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হয়। এতে আসামি হিসেবে মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মালিথার ছেলে সুজন মালিথা (৩২) ছিলেন বিএনপির কর্মী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে দলের কাজ করতেন। এতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের যোগসাজশ এবং উস্কানিতে সুজন মালিথাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তারই জেরে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা সবাই মিলে সুজন মালিথার বাসায় ঢোকে এবং তাকে জোরপূর্বক তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়।

 

পরদিন সকালে সুজনের পরিবার জানতে পারে, পূর্ব শত্রুতার জেরে উল্লিখিত আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সুজন মালিথাকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করেছে। পরে বাদীসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন আসামিদের কাছে উপস্থিত হয়ে সুজন মালিথাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে স্বজনদেরই তাড়িয়ে দেয়।

 

২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় ‘কুমারখালী নাগরিক পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ। সেখানে অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার তৎকালীন এসপি এস এম তানভীর আরাফাত।

 

তিনি তার বক্তব্যে বিরোধী পক্ষগুলোকে ‘তিনটি অপশন’ দেন । তানভীর আরাফাত বলেন, ‘এক. উল্টাপাল্টা করবা হাত ভেঙে দেব, জেল খাটতে হবে। দুই. একেবারে চুপ করে থাকবেন, দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। তিন. আপনার যদি বাংলাদেশ পছন্দ না হয়, তাহলে ইউ আর ওয়েলকাম টু গো ইউর পেয়ারা পাকিস্তান। তার এ বক্তব্য তখন তুমুল আলোচনায় আসে।

 

এসপি তানভীর এক সমাবেশে ‘বালিশ ছাড়া শোওয়াইয়া দেব’ বলেও ঘোষণা দেন, যেটাকে বিচারবহির্ভূত হত্যার হুমকি বলে সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।

 

এমনকি ভেড়ামারায় পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপিতে বাধা দেওয়ায় কর্তব্য পালনরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্চিত করার অপরাধে উচ্চ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল তানভীর আরাফাতকে। ওই ঘটনায় আগে থেকেই তিনি বিভাগীয় শাস্তি (পদায়ন বঞ্চিত) ভোগ করছিলেন।

 

পাঁচ বছর আগে কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ও বিতর্কিত এসপি তানভীর আরাফাতের কারাগারে যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বয়ং আদালত পাড়াতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেকে।


প্রিন্ট