ঢাকা , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের নাচের ভিডিও ভাইরাল

-নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সঙ্গে টালমাটাল নাচছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম)।

স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুরঃ

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের টালমাটাল নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষকের এমন বিতর্কিত নাচের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।

 

ছাত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের নাম দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম)। তিনি উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির একদল ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে গান বাজিয়ে নাচানাচি করেন।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ২১ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটি হিন্দি গানের তালে তালে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গিতে নাচানাচি করছেন। আর তাকে ঘিরে বিদ্যালয়ের একদল ছাত্রীরাও হৈ-হুল্লোড় ও নাচানাচি করছেন।

 

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি হামিম খান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে। এতে তিনি লিখেছেন, “শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। নৈতিকতার শিক্ষা দেন। আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তিনিও শিক্ষক; নৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন কি? প্রশ্ন রেখে গেলাম?”

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘তিনি বিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করেছেন। ওনার জ্ঞান বুদ্ধি একটু কম আছে।

 

এ ব্যপারে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ওই শিক্ষক একটু সাংস্কৃতিক-মনা। তবে ওইভাবে নাচানাচি করা তার ঠিক হয়নি।

 

জানতে চাইলে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) বলেন, প্রথমে আমি ছেলেদের সঙ্গে নেচেছি। পরে মেয়েরা বললে তাদের সাথেও নাচি। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওটি এডিট করে অন্য গান যুক্ত করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে এমন ধরনের কাজ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের নাচের ভিডিও ভাইরাল

আপডেট টাইম : ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর :

স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুরঃ

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের টালমাটাল নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষকের এমন বিতর্কিত নাচের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।

 

ছাত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের নাম দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম)। তিনি উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির একদল ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে গান বাজিয়ে নাচানাচি করেন।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ২১ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটি হিন্দি গানের তালে তালে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গিতে নাচানাচি করছেন। আর তাকে ঘিরে বিদ্যালয়ের একদল ছাত্রীরাও হৈ-হুল্লোড় ও নাচানাচি করছেন।

 

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি হামিম খান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে। এতে তিনি লিখেছেন, “শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। নৈতিকতার শিক্ষা দেন। আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তিনিও শিক্ষক; নৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন কি? প্রশ্ন রেখে গেলাম?”

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘তিনি বিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করেছেন। ওনার জ্ঞান বুদ্ধি একটু কম আছে।

 

এ ব্যপারে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ওই শিক্ষক একটু সাংস্কৃতিক-মনা। তবে ওইভাবে নাচানাচি করা তার ঠিক হয়নি।

 

জানতে চাইলে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) বলেন, প্রথমে আমি ছেলেদের সঙ্গে নেচেছি। পরে মেয়েরা বললে তাদের সাথেও নাচি। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওটি এডিট করে অন্য গান যুক্ত করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে এমন ধরনের কাজ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।


প্রিন্ট