ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় Logo লালপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আটক ২ Logo পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময় Logo সদরপুরে ২দিনের অভিযানে ৬ ট্রাকসহ ৮ জন আটক, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo তানোরে আলুচাষে প্রতি বিঘায় কৃষকের লোকসান ২৫ হাজার টাকা Logo কুষ্টিয়া প্রতিবন্ধী জাহানারাকে হত্যাকারীর গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধ Logo দৌলতপুর গরু লুটের টাকার ভাগ নিয়ে দুপক্ষের গোলাগুলি, এলাকায় আতঙ্ক Logo আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি অধিকার হারিয়েছেঃ -আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। Logo ভূরুঙ্গামারীতে হ্যান্ডকাফ সহ পলিয়ে যাওয়া কুখ্যাত মাদক কারবারি দম্পতি চট্টগ্রাম থেকে আটক Logo পদবঞ্চিতদের নির্লজ্জ অপপ্রচারের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন ইসমাইল হােসেন বাবু,ষ্টাফ রিপাের্টার :
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে আলুচাষে প্রতি বিঘায় কৃষকের লোকসান ২৫ হাজার টাকা

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

 

রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে আলুচাষে কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠছে না।অধিকাংশক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করছেন কৃষক।প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ প্রায় ২২ টাকা। অথচ কৃষকরা এখন বিক্রি করছেন ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে। গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে আলু চাষ হলেও এবার দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচের তুলনায় আলু বিক্রি করছেন প্রায় অর্ধেক দামে। এর পাশাপাশি কোল্ড স্টোরেজের ভাড়াও বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার এক বিঘা আলু চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। জমি ভাড়া গড় ২৫ হাজার টাকা, বীজ ৩০ হাজার,সার ৭ হাজার, রোপণ ৩ হাজার, টব ২৫০০ টাকা, কীটনাশক ৪ হাজার, উত্তোলন ৫ হাজার ও সেচ দেড় হাজার টাকাসহ মোট ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে ৭০ কেজির ওজনে ৪৫ থেকে ৫০ বস্তা বা ৩ হাজার ৫০০ কেজি। এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ টাকা। অথচ এখন জমিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতি কেজিতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে গড় ৭ টাকা এবং প্রতি বিঘায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে আলু চাষি রবিউল ইসলাম কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে বলেন, ‘গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না। এনিয়ে চরম মানুষিক চাপে রয়েছি।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪ দশমিক ৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আবাদ হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪ দশমিক ৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতবিনিময়

error: Content is protected !!

তানোরে আলুচাষে প্রতি বিঘায় কৃষকের লোকসান ২৫ হাজার টাকা

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

 

রাজশাহীর তানোরে চলতি মৌসুমে আলুচাষে কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠছে না।অধিকাংশক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করছেন কৃষক।প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ প্রায় ২২ টাকা। অথচ কৃষকরা এখন বিক্রি করছেন ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে। গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে আলু চাষ হলেও এবার দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচের তুলনায় আলু বিক্রি করছেন প্রায় অর্ধেক দামে। এর পাশাপাশি কোল্ড স্টোরেজের ভাড়াও বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার এক বিঘা আলু চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। জমি ভাড়া গড় ২৫ হাজার টাকা, বীজ ৩০ হাজার,সার ৭ হাজার, রোপণ ৩ হাজার, টব ২৫০০ টাকা, কীটনাশক ৪ হাজার, উত্তোলন ৫ হাজার ও সেচ দেড় হাজার টাকাসহ মোট ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে ৭০ কেজির ওজনে ৪৫ থেকে ৫০ বস্তা বা ৩ হাজার ৫০০ কেজি। এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ টাকা। অথচ এখন জমিতে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতি কেজিতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে গড় ৭ টাকা এবং প্রতি বিঘায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

এদিকে আলু চাষি রবিউল ইসলাম কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে বলেন, ‘গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না। এনিয়ে চরম মানুষিক চাপে রয়েছি।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪ দশমিক ৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আবাদ হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪ দশমিক ৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন।


প্রিন্ট