আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ থানায় মিথ্যা মামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগীর অভিযোগ,বাদির কাছে থেকে পুলিশ আর্থিক সুবিধা নিয়ে কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা গ্রহণ করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) শিমুল পুকুর গ্রামে জেল নম্বর ১০১ মৌজা নবনবী,আরএস খতিয়ান নম্বর ১৮৪, দাগ নম্বর ১৯৯, শ্রেণী পুকুর পাড় ও ভিটা, পরিমান ২ একর ২৩ শতক। পৈতৃক সুত্রে এসব সম্পত্তির মালিক রাজশাহীর চন্ডিপুর কদমতলা মহল্লার মৃত জাহানারা বেগমের পুত্র জহুরুল ইসলাম। তার নামে জমির খাজনা-খারিজ চলমান রয়েছে।
এদিকে জহির পরিবারসহ রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। এতে দেখভালের অভাবে সরকারি খাস জায়গা মনে করে ওই জায়গায় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠিসহ বেশ কয়েকটি বসতঘর করে বসবাস শুরু করেছেন। এমতাবস্থায় বিষয়টি জানার পর জমির কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে জহির তাদের জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন।এতে জহিরের কাছে থেকে বেশ কয়েকটি পরিবার টাকা দিয়ে জমি কিনে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছেন, এখানো নিচ্ছেন। কিন্ত্ত রোজিফা বেগম নামের এক ব্যক্তি জমি ছাড়তে অস্বীকার করছে,আবার কিনেও নিচ্ছেন না।
এদিকে রোজিফা বেগমকে জমি ছাড়তে বলায় সে জমি তো ছাড়েইনি তার কন্যা বকুল খাতুনকে দিয়ে উল্টো জমি মালিক জহিরের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন।অন্যদিকে পুলিশ অভিযোগের তদন্ত না করে জহিরকে থানায় ডেকে নিয়ে আটক ও তার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেছেন বলে জহির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ওই জায়গার সমস্ত কাগজপত্র তার কাছে রয়েছে।কিন্ত্ত রোজিফা বেগম রাতারাতি তার জায়গায় বাড়ি করেছে।তাকে জায়গা ছাড়তে বলায় সে তার কন্যাকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। এ বিষয়ে রোজিফা বেগম বলেন, এটা সরকারি খাস জায়গা তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবত এখানে বাড়ি করে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ইতমধ্যে জহির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও শ্লীলতাহানি করেছেন।
প্রিন্ট