ঢাকা , সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় কুকুর খুঁজে বের করলো বালুর নিচে বস্তাবন্দী লাশ Logo কাশিয়ানীতে নিজের কান কেটে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে মামলা Logo নরসিংদীতে তিথি হত্যার রহস্য দ্রুত উদঘাটন করে পিবিআই Logo গণহত্যার বিচার দাবিতে বাগাতিপাড়ায় গণমিছিল ও পথসভা Logo আলফাডাঙ্গায় তারুণ্যের উৎসব কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo দেশে ফিরলেন প্রবাসী বিএনপি নেতা শহীদুজ্জামান কাকন, বিমান বন্দরে নেতাকর্মীদের ভীড় Logo লালপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রার্থনার মেডিকেল ভর্তিতে তারেক রহমানের সহায়তা Logo সদরপুরে মধ্যরাতে ইয়াবাসহ যুবক আটক Logo দৌলতপুরে দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পের শাখা অফিস উদ্বোধন Logo তানোরে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর তানোরে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে।গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

 

কিন্ত্ত উদ্বোধনের প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও এখানো এক ছটাক ধান সংগ্রহ করতে পারেনি গুদাম কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, সরকারি দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দিতে কৃষকদের আগ্রহ নেই। আর মিলাররা চুক্তিবদ্ধ থাকলেও শুধু মাত্র ২০ মেট্রিক টন চাল পেয়েছে গুদাম কর্তৃপক্ষ। বাকি চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

 

এ অবস্থায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান অনেকটা ব্যর্থ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তানোর সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মুকুল টুডু জানান, এ বছর তানোর উপজেলার কৃষকদের কাছে থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে ১৮৪৩ মেট্রিকটন আমন ধান ও চালকল মালিকদের কাছে থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে ৩০০ মেট্রিকটন আমন ধানের চাল ক্রয় করা হবে। কিন্তু শুধু ২০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

 

তানোর উপজেলার কৃষকরা বলেন, সরকার নির্ধারিত ধানের দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি তাই খোলাবাজারে ধান বিক্রি করলে তুলনামূলক বেশি লাভ হচ্ছে। তাছাড়া গুদামে ধান দেয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা, সব ধরনের ধান না নেওয়া, ধানের দাম হাতে হাতে না পাওয়াসহ নানা সমস্যা হয়। উপজেলার কামারগাঁ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গুদামে ধান আসছে না, কিছু পরিমান চাল ঢুকেছে। আমরা বসে বসে সময় পার করছি। কাজ না থাকায় আমাদের লেবারদের চলাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি শরিফ উদ্দিন মুন্সী বলেন, ধান কিনে চাল করতে যে পরিমান খরচ পড়ছে আর সরকারিভাবে যে মূল্যনির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আমাদের কেজিতে ৪/৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসানের পরও শুধু লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে ও সরকারকে সহযোগীতা করার জন্য চাল দিতে হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) শেখ মলিউজ্জামান সজীব জানান, খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি। তাই গুদামে ধান দিতে কৃষকদের আগ্রহ নেই। এ বছর ১৭টি মিলার আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় তারা চাল দিতে সম্মত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে এখন পর্যন্ত শুধু ২০ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় কুকুর খুঁজে বের করলো বালুর নিচে বস্তাবন্দী লাশ

error: Content is protected !!

তানোরে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ

আপডেট টাইম : ৬ ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর তানোরে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে।গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

 

কিন্ত্ত উদ্বোধনের প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও এখানো এক ছটাক ধান সংগ্রহ করতে পারেনি গুদাম কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, সরকারি দামের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দিতে কৃষকদের আগ্রহ নেই। আর মিলাররা চুক্তিবদ্ধ থাকলেও শুধু মাত্র ২০ মেট্রিক টন চাল পেয়েছে গুদাম কর্তৃপক্ষ। বাকি চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

 

এ অবস্থায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান অনেকটা ব্যর্থ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তানোর সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মুকুল টুডু জানান, এ বছর তানোর উপজেলার কৃষকদের কাছে থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে ১৮৪৩ মেট্রিকটন আমন ধান ও চালকল মালিকদের কাছে থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে ৩০০ মেট্রিকটন আমন ধানের চাল ক্রয় করা হবে। কিন্তু শুধু ২০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

 

তানোর উপজেলার কৃষকরা বলেন, সরকার নির্ধারিত ধানের দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি তাই খোলাবাজারে ধান বিক্রি করলে তুলনামূলক বেশি লাভ হচ্ছে। তাছাড়া গুদামে ধান দেয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা, সব ধরনের ধান না নেওয়া, ধানের দাম হাতে হাতে না পাওয়াসহ নানা সমস্যা হয়। উপজেলার কামারগাঁ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গুদামে ধান আসছে না, কিছু পরিমান চাল ঢুকেছে। আমরা বসে বসে সময় পার করছি। কাজ না থাকায় আমাদের লেবারদের চলাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি শরিফ উদ্দিন মুন্সী বলেন, ধান কিনে চাল করতে যে পরিমান খরচ পড়ছে আর সরকারিভাবে যে মূল্যনির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আমাদের কেজিতে ৪/৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসানের পরও শুধু লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে ও সরকারকে সহযোগীতা করার জন্য চাল দিতে হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) শেখ মলিউজ্জামান সজীব জানান, খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি। তাই গুদামে ধান দিতে কৃষকদের আগ্রহ নেই। এ বছর ১৭টি মিলার আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় তারা চাল দিতে সম্মত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে এখন পর্যন্ত শুধু ২০ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে।


প্রিন্ট