ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে বিএনপির ইফতার মাহফিলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ Logo বাঘায় ট্রাক ও চার্জার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুর মৃত্যু Logo লালপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনাঃ জরিমানা Logo নরসিংদীতে ধর্ষকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন Logo প্রতারণা মামলায় কারাগারে বাঘা মহিলা আ’লীগ নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান Logo বাঘায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ পেলেন ১৪ জন Logo এখন আর নামাজ আদায় হয় না যে মসজিদে Logo নাটোরে স্ত্রীর মামলায় বরখাস্তকৃত এসপি কারাগারে, সংবাদকর্মীদের উপর হামলা Logo সদরপুরে ন্যাশনাল হাসপাতালের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নাটোরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুল চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে হাতিয়ার কৃষকরা

হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার চরকৈলাশ গ্রামের দুই বন্ধু বেলাল উদ্দিন ও খলিলুর রহমান । দীর্ঘদিন থেকে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কৃষি অফিসের অনুপেরনায় এবার তারা প্রতিবেশি থেকে অনেকটা পরিত্যাক্ত (পানিতে ডুবে থাকে) দুই একর জমি বর্গা নিয়ে কুল চাষ করেছেন। উপজেলা সদরের উত্তরে প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় তাদের এই ক্ষেত দেখতে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজন আসছেন।

দুই একর জমিতে বল সুন্দরী কুল, আপেল কুল, থাই কুল, বাউ কুল, কাশ্মীরি কুল, নারকেল কুলসহ আরও নানা জাতের সুস্বাদু সব জাতের ১০০০ টি কুলগাছ রোপণ করেন। শুরুতে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়ে বছরে এখন ২০ লাখ টাকার মতো আয় করতে পারবেন শুধু এই কুল থেকেই।

থোকাই থোকাই কুল ধুলছে গাছে গাছে। পরিপক্ক কুল পেড়ে খাচ্ছেন কৌতুহলি দর্শনার্থীরা। ছোট ছোট গাছ হওয়ায় মাঠিতে দাড়িয়ে কুল পাড়ছেন শিশুরা। কেউ কেউ ক্ষেতের মধ্যে দাড়িয়ে তুলছেন ছবি। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে এসেছেন কুল ক্ষেতের এই অপরুপ দৃশ্য দেখতে। অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক কুল দিয়ে আপ্যায়ন করছে দর্শনার্থীদের। প্রতিদিনের এই দৃশ্য নোয়াখালী হাতিয়ার চরকৈলাশ গ্রামসহ বিভিন্ন কুল ক্ষেতের।

 

হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা। এখানে জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলো কৃষি। সম্প্রতি গতানুগতিক কৃষি ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে মানুষ বিভিন্ন মাধ্যমে সফল হচ্ছেন। এই বছর তেমনি কুল চাষে সফলতা অনেক কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। মাত্র আট মাস আগে লাগানো গাছের কুল বিক্রি করতে পারায় খুশি চাষিরা। নতুন জাতের বল সুন্দরি কুল এই দ্বীপে তিন বছর হলো পরীক্ষা মুলক ভাবে চাষ করছে চাষিরা। এবারই বানিজ্যিক ভাবে অনেকে ক্ষেতে চাষ করেছে এই কুল। তবে প্রথম বছর হওয়ায় পুজি বেশি লেগেছে। এরপরও ফলন ভালো হওয়ায় লাভ দ্বীগুন হবে বলে ধারনা চাষিদের।

 

খলিলুর রহমান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন দুই বন্ধু দীর্ঘদিন থেকে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি । সম্প্রতি কৃষি অফিসের অনুপেরনায় কুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এই বছরের প্রথম দিগে প্রতিবেশি থেকে দুই একর জায়গা নিয়ে কুল চাষ শুরু করেন। সম্পূর্ণ পরিত্যাক্ত একটি জমিতে মাঠির সেড তৈরি করে এই কুল চাষ করেন তারা। এই বছর একহাজার দুইশত চারা রোপন করেছেন। কিন্তু ফলন দিচ্ছে প্রায় এক হাজার গাছে।

 

তিনি আরো জানান, দুই একর জমিতে ফলন দেওয়া পর্যন্ত ব্যায় হয়েছে প্রায় ৫লাখ ৫০ হাজার টাকা। এক হাজার গাছের প্রতিটিতে ২০ কেজি করে ফলন পাওয়া গেলে মোট ২০ হাজার কেজি কুল পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বছর ডিসেম্বর মাস থেকে এই ক্ষেতের কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিগে ১২০ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে। এখন ১০০ টাকা ধরে বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন এই ক্ষেত থেকে ২০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন।

তিনি বলেন , ‘আমার ফলবাগান কীটনাশক মুক্ত, খেতেও খুব সুস্বাদু। ক্রেতারা এগুলো এলংজ্জ্বল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

ওছখালীর ফল বিক্রেতা সাহানাজ হোসেন দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে খলিল ভাই ও বেলাল ভাইয়ের কাছ থেকে ৮০০ থেকে ১০০ কেজি আপেল কুল, থাই কুল, সুন্দরী কুল, বল কুল, কাশ্মীরি কুল, নারিকেল কুল, বাউ কুল কিনি। বাজারে ভালো দামে বিক্রিও করি। দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।

 

চরঈশ্বর ইউনিয়নের আলী বাজারের পাশে সফল কৃষক খানসাব। বিভিন্ন ফল ও সবজির বিশাল থামারের মালিক তিনি। খানসাব জানান, বল সুন্দরী এই কুল চাষে হাতিয়াতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। গত বছর অনেকে এই কুল চাষ করেছেন। তারেদর দেখা দেখি এই বছর প্রায় শতাধিক কৃষক ছোট ও বড় পরিষরে এই কুল চাষ শুরু করেছেন। তিনি নিজেও প্রায় ১০ শতক জমিতে এই কুল চাষ করে সফলতা পেয়েনে। ধান চাষে ভালো ফলন হয়না এধরনের জমিতে এই কুল ভালো ফলন দেয়। এতে কৃষকের কুল চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

 

খলিলুর রহমানের ক্ষেতে দেখা হয় জমির আলি নামে একজন চাকুরী জীবির সাথে। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুল ক্ষেত দেখতে এসেছেন। জমির আলী  জানান, তিনি এসেছেন দুই কন্যাকে নিয়ে। শিশুরা অনেক খুশি। গাছের কুল পেড়ে খেয়েছেন তারা। বাড়ীর জন্য কিছু কিনে নিবেন। রাস্তার পাশে হওয়ায় অনেকে এসেছেন তাদের মতো এই ক্ষেত দেখতে।

চর ঈশ্বর ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামের সফল কৃষক আফছার উদ্দিন বলেন । বেকারত্ব ঘোচাতে যান মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে ২০১৮ সালে দেশে এসে প্রথমে নিজের জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। পরে কুল চাষে সফলতা পেয়ে বাড়ির পাশে আরও কিছু জমি বর্গা নিয়ে চাষের পরিধি বাড়ান। সব মিলিয়ে তার প্রায় দেড় একর জমিতে এবার কুল চাষ করেছেন। শুরুতে ১ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে বছরে এখন ২ লাখ টাকার মতো আয় করছেন শুধু কুল বাগান থেকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজ দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, বল সুন্দরী কুল এই জাতটি উপকুলীয় এলাকায় বেশি চাষ হয়। পরিত্যাক্ত জমিতে এই কুল চাষ করা যায়। এখানে কৃষক প্রথম বছর মাঠির সেড তৈরি সহ বিভিন্ন কাজে বেশি পুজি দিলেও পরের বছর থেকে তা আর লাগবে না। কম সময়ে অল্প পুজিতে ভালো লাভবান হওয়া যায়। এজন্য কৃষকদের আমরা কুল চাষে উদ্ভুদ্ধ করছি। হাতিয়াতে প্রায় শতাধিক কৃষক এই কুল চাষ করছেন। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে বিএনপির ইফতার মাহফিলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

error: Content is protected !!

কুল চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে হাতিয়ার কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :

হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার চরকৈলাশ গ্রামের দুই বন্ধু বেলাল উদ্দিন ও খলিলুর রহমান । দীর্ঘদিন থেকে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কৃষি অফিসের অনুপেরনায় এবার তারা প্রতিবেশি থেকে অনেকটা পরিত্যাক্ত (পানিতে ডুবে থাকে) দুই একর জমি বর্গা নিয়ে কুল চাষ করেছেন। উপজেলা সদরের উত্তরে প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় তাদের এই ক্ষেত দেখতে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজন আসছেন।

দুই একর জমিতে বল সুন্দরী কুল, আপেল কুল, থাই কুল, বাউ কুল, কাশ্মীরি কুল, নারকেল কুলসহ আরও নানা জাতের সুস্বাদু সব জাতের ১০০০ টি কুলগাছ রোপণ করেন। শুরুতে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়ে বছরে এখন ২০ লাখ টাকার মতো আয় করতে পারবেন শুধু এই কুল থেকেই।

থোকাই থোকাই কুল ধুলছে গাছে গাছে। পরিপক্ক কুল পেড়ে খাচ্ছেন কৌতুহলি দর্শনার্থীরা। ছোট ছোট গাছ হওয়ায় মাঠিতে দাড়িয়ে কুল পাড়ছেন শিশুরা। কেউ কেউ ক্ষেতের মধ্যে দাড়িয়ে তুলছেন ছবি। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে এসেছেন কুল ক্ষেতের এই অপরুপ দৃশ্য দেখতে। অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক কুল দিয়ে আপ্যায়ন করছে দর্শনার্থীদের। প্রতিদিনের এই দৃশ্য নোয়াখালী হাতিয়ার চরকৈলাশ গ্রামসহ বিভিন্ন কুল ক্ষেতের।

 

হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা। এখানে জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলো কৃষি। সম্প্রতি গতানুগতিক কৃষি ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে মানুষ বিভিন্ন মাধ্যমে সফল হচ্ছেন। এই বছর তেমনি কুল চাষে সফলতা অনেক কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। মাত্র আট মাস আগে লাগানো গাছের কুল বিক্রি করতে পারায় খুশি চাষিরা। নতুন জাতের বল সুন্দরি কুল এই দ্বীপে তিন বছর হলো পরীক্ষা মুলক ভাবে চাষ করছে চাষিরা। এবারই বানিজ্যিক ভাবে অনেকে ক্ষেতে চাষ করেছে এই কুল। তবে প্রথম বছর হওয়ায় পুজি বেশি লেগেছে। এরপরও ফলন ভালো হওয়ায় লাভ দ্বীগুন হবে বলে ধারনা চাষিদের।

 

খলিলুর রহমান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন দুই বন্ধু দীর্ঘদিন থেকে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি । সম্প্রতি কৃষি অফিসের অনুপেরনায় কুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এই বছরের প্রথম দিগে প্রতিবেশি থেকে দুই একর জায়গা নিয়ে কুল চাষ শুরু করেন। সম্পূর্ণ পরিত্যাক্ত একটি জমিতে মাঠির সেড তৈরি করে এই কুল চাষ করেন তারা। এই বছর একহাজার দুইশত চারা রোপন করেছেন। কিন্তু ফলন দিচ্ছে প্রায় এক হাজার গাছে।

 

তিনি আরো জানান, দুই একর জমিতে ফলন দেওয়া পর্যন্ত ব্যায় হয়েছে প্রায় ৫লাখ ৫০ হাজার টাকা। এক হাজার গাছের প্রতিটিতে ২০ কেজি করে ফলন পাওয়া গেলে মোট ২০ হাজার কেজি কুল পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বছর ডিসেম্বর মাস থেকে এই ক্ষেতের কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিগে ১২০ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে। এখন ১০০ টাকা ধরে বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন এই ক্ষেত থেকে ২০ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন।

তিনি বলেন , ‘আমার ফলবাগান কীটনাশক মুক্ত, খেতেও খুব সুস্বাদু। ক্রেতারা এগুলো এলংজ্জ্বল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

ওছখালীর ফল বিক্রেতা সাহানাজ হোসেন দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে খলিল ভাই ও বেলাল ভাইয়ের কাছ থেকে ৮০০ থেকে ১০০ কেজি আপেল কুল, থাই কুল, সুন্দরী কুল, বল কুল, কাশ্মীরি কুল, নারিকেল কুল, বাউ কুল কিনি। বাজারে ভালো দামে বিক্রিও করি। দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।

 

চরঈশ্বর ইউনিয়নের আলী বাজারের পাশে সফল কৃষক খানসাব। বিভিন্ন ফল ও সবজির বিশাল থামারের মালিক তিনি। খানসাব জানান, বল সুন্দরী এই কুল চাষে হাতিয়াতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। গত বছর অনেকে এই কুল চাষ করেছেন। তারেদর দেখা দেখি এই বছর প্রায় শতাধিক কৃষক ছোট ও বড় পরিষরে এই কুল চাষ শুরু করেছেন। তিনি নিজেও প্রায় ১০ শতক জমিতে এই কুল চাষ করে সফলতা পেয়েনে। ধান চাষে ভালো ফলন হয়না এধরনের জমিতে এই কুল ভালো ফলন দেয়। এতে কৃষকের কুল চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

 

খলিলুর রহমানের ক্ষেতে দেখা হয় জমির আলি নামে একজন চাকুরী জীবির সাথে। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুল ক্ষেত দেখতে এসেছেন। জমির আলী  জানান, তিনি এসেছেন দুই কন্যাকে নিয়ে। শিশুরা অনেক খুশি। গাছের কুল পেড়ে খেয়েছেন তারা। বাড়ীর জন্য কিছু কিনে নিবেন। রাস্তার পাশে হওয়ায় অনেকে এসেছেন তাদের মতো এই ক্ষেত দেখতে।

চর ঈশ্বর ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামের সফল কৃষক আফছার উদ্দিন বলেন । বেকারত্ব ঘোচাতে যান মধ্যপ্রাচ্যে। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে ২০১৮ সালে দেশে এসে প্রথমে নিজের জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। পরে কুল চাষে সফলতা পেয়ে বাড়ির পাশে আরও কিছু জমি বর্গা নিয়ে চাষের পরিধি বাড়ান। সব মিলিয়ে তার প্রায় দেড় একর জমিতে এবার কুল চাষ করেছেন। শুরুতে ১ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে বছরে এখন ২ লাখ টাকার মতো আয় করছেন শুধু কুল বাগান থেকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজ দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, বল সুন্দরী কুল এই জাতটি উপকুলীয় এলাকায় বেশি চাষ হয়। পরিত্যাক্ত জমিতে এই কুল চাষ করা যায়। এখানে কৃষক প্রথম বছর মাঠির সেড তৈরি সহ বিভিন্ন কাজে বেশি পুজি দিলেও পরের বছর থেকে তা আর লাগবে না। কম সময়ে অল্প পুজিতে ভালো লাভবান হওয়া যায়। এজন্য কৃষকদের আমরা কুল চাষে উদ্ভুদ্ধ করছি। হাতিয়াতে প্রায় শতাধিক কৃষক এই কুল চাষ করছেন। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

 


প্রিন্ট