ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ Logo বাইসাইকেল নিয়ে সেতুর উপরে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেলাে শুভ’র Logo রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি’র গোছানো মাঠ নষ্টের চেষ্টা Logo রাজশাহীতে আনসার ও ভিডিপি’র মতবিনিময় সভা Logo ফরিদপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে নারীদের এবং স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবেদনশীল কর্মশালা Logo বাঘায় আনিসুরকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার রায়হানের Logo কালুখালীতে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ Logo জুলাই গণঅভুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে বাগাতিপাড়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo গোয়ালন্দে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দায় সংগ্রামী সেই মিলির লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

অবশেষে কিছুটা কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে সংগ্রামী মেয়ে মিলি আক্তারের। এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্ন পূরণে তার লেখা পড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকালে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু মিলি আক্তারের বাড়িতে যান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা, চাল-ডাল, আটা, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।

এছাড়া ইউএনও ব্যক্তিগত ভাবে নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়া মিলির পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি সরকারি ভাবে বিনামূল্যে একটি ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ঐ পরিবারটিকে। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির।

ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের ধুৎরাহাটি গ্রামের আ. বারেক ব্যাপারীর মেয়ে মিলি আক্তার। সে ধুৎরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর্থিক অভাব-অনন্টনের মধ্যেও সে জেএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। মিলির বাবা বারেক ব্যাপারী চায়ের দোকান চালাতেন।

ছয়-সাত বছর ধরে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারেননি। মা সূর্য খাতুন বৃদ্ধা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। চার ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের পরে সবাই পেতেছেন আলাদা সংসার। একমাত্র মিলিই থাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে।

তাই উপায়ন্ত না পেয়ে নিজের ও বাবা-মায়ের পেটের তাগিদে মিলি আক্তার হাতে তুলে নেয় গরম চায়ের কেটলি। এ নিয়ে ২৭ জুন প্রকাশিত দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “স্বপ্নটা মিলিয়ে যেতে দেবে না মিলি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নগরকান্দা ইউএনওর নজরে আসে। এরপর মিলির বাড়িতে যান তিনি।

এ বিষয়ে ইউএনও জেতী প্রু বলেন, মিলির সংগ্রামী জীবন। তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ

error: Content is protected !!

নগরকান্দায় সংগ্রামী সেই মিলির লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

আপডেট টাইম : ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টারঃ :

অবশেষে কিছুটা কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে সংগ্রামী মেয়ে মিলি আক্তারের। এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্ন পূরণে তার লেখা পড়ার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকালে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু মিলি আক্তারের বাড়িতে যান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা, চাল-ডাল, আটা, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।

এছাড়া ইউএনও ব্যক্তিগত ভাবে নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়া মিলির পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি সরকারি ভাবে বিনামূল্যে একটি ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ঐ পরিবারটিকে। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির।

ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের ধুৎরাহাটি গ্রামের আ. বারেক ব্যাপারীর মেয়ে মিলি আক্তার। সে ধুৎরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর্থিক অভাব-অনন্টনের মধ্যেও সে জেএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। মিলির বাবা বারেক ব্যাপারী চায়ের দোকান চালাতেন।

ছয়-সাত বছর ধরে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারেননি। মা সূর্য খাতুন বৃদ্ধা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। চার ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের পরে সবাই পেতেছেন আলাদা সংসার। একমাত্র মিলিই থাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে।

তাই উপায়ন্ত না পেয়ে নিজের ও বাবা-মায়ের পেটের তাগিদে মিলি আক্তার হাতে তুলে নেয় গরম চায়ের কেটলি। এ নিয়ে ২৭ জুন প্রকাশিত দৈনিক সমকাল পত্রিকায় “স্বপ্নটা মিলিয়ে যেতে দেবে না মিলি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নগরকান্দা ইউএনওর নজরে আসে। এরপর মিলির বাড়িতে যান তিনি।

এ বিষয়ে ইউএনও জেতী প্রু বলেন, মিলির সংগ্রামী জীবন। তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।


প্রিন্ট