ঢাকা , শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে বকুল ও মিলন Logo তারেক জিয়া পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন Logo শিক্ষার্থীরা অর্ধেক মারা যাওয়া জাতিকে জাগিয়েছেঃ -নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ Logo নোয়াখালী সুবর্ণচরে গাছ থেকে পড়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু Logo তানোরে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে জমি দখলের চেষ্টা Logo চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের তফসলি ঘোষণা Logo কালুখালীর রতনদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সম্মেলন Logo সদরপুরে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo দেশে প্রশাসনের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা রয়েছেঃ -তাইফুল ইসলাম টিপু Logo ফরিদপুরে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত উপজেলা দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোমস্তাপুরে ইউটিউব দেখে বরই চাষ করে স্বাবলম্বী সামিউল

মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

জীবিকার তাগিদে ৮ বছর প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি, অবশেষে দেশে ফিরে বরই চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে কৃষি উদ্যোক্তা সামিউল হকের। সামিউল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ডাইংপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে।

 

ইউটিউব দেখে বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষ শুরু করে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামিউল হক। রহনপুর পৌর এলাকার প্রাসাদ পুর মৌজায় আইস বিলের কোল ঘেঁষে বর্তমানে তিনি ৪০ বিঘা জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, ভারত সুন্দরী, বেবি কুল, আগাম গুটি কুল, নারিকেল হক ও বাউ কুল নামের বরই চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তিনি বরইয়ের পাশাপাশি বাগানে বারোমাসি কাটিমন আম, মাল্টা, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বারতি আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকায়। প্রতিদিনই তার বাগানে এলাকাবাসী ভির জমাচ্ছে দেখার জন্য। বরই গাছে থোকায় থোকায় বরই দৃষ্টি কাড়ছে দর্শনার্থীদের।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গা জুড়ে লাগানো বরই গাছগুলোতে ফলে ভরপুর হয়ে আছে এবং শ্রমিকরা সেই বরই ভাঙ্গতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুলছে লাল সোনালি রঙের বরই গাছ গুলো। শীতের মিষ্টি রোদ পড়ে রঙিন বরই গুলো চকচক করছে। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছের ডাল। বরই উপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতেও খুব সুস্বাদু। বাজারে এ বরইয়ের চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। ফলে চাষের সকল খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামিউল হক। বরই চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং এ বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।

 

 

বাগানের শ্রমিক নূরে আলম জানান, এই বাগান প্রতিদিনই প্রায় ১৫/২০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করি। আমি তিন বছর যাবত এই বাগানে নিয়মিত কাজ করি। এই বাগানটি গড়ে উঠাতে আমাদের একটা কর্ম সংস্থান হয়েছে। আমাদের পরিবার সচ্ছলতা এসেছে। আমি দিনে ৫০০ টাকা মুজরি পাই। আমাদের উপজেলায় এই বাগানটি সবচেয়ে বড় এবং উৎপাদন বেশী। তাই দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই নতুন উদ্যোক্ত হওয়ার জন্য প্রতিদিনই বাগান প্রদর্শনে আসছেন।

 

মোঃ সামিউল হক জানান, জীবিকার তাগীদে দীর্ঘ ৮ বছর ইরাকে ছিলাম। আমরা ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয় বাবা একজন পল্লী চিকিৎসক। আমি কয়েক বছর আগে দেশে আসি। বিদেশে থেকে ইউটিউব দেখে দেখে স্বপ্ন বুনি কৃষি উদ্যোক্ত হওয়ার। পরে দেশে এসে নিকট আত্মীয়র উৎসাহে এবং অন্যের ১৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলা থেকে চারা নিয়ে এসে ২০১৯ সালে শুরু করি বরই বাগান। পরের বছর আবার ২৪ বিঘা জমি লিজ নিই। মোট ৪০ বিঘা জমিতেই বরই বাগান গড়ে তুলি। বরইয়ের পাশাপাশি বারোমাসি আমসহ পেঁপে গাছ লাগায়। আমার বরই বাগানের বয়স ৫ বছর গত তিন বছরে আমার লাভের পরিমান ছিলো খুবই কম। তবে গত দুই বছর থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকারের পরামর্শ ক্রমে ও উৎসাহ পেয়ে আমি এখন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করে যথাসময়ে আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে আমাকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা করায় ধন্যবাদ জানায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকারকে।

 

আমার ৪০ বিঘা জমিতে এ বছর বাগানের জমির লিজের টাকা , কীটনাশক, সার, সেচ ও শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ। তিনি আরো জানান, এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় বিঘা প্রতি উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ৬০ থেকে ৭০ মন। বাগান থেকেই প্রতিমন বরই বিক্রি করছি ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকদ মন। বিঘা প্রতি বরইয়ের উৎপাদন প্রায় ২ লক্ষ টাকা ছারিয়ে যাবে বলে আশা করছি। সে হিসেবে এই বাগান থেকে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার বরই বিক্রির আশা করছি। তাতে বছরের সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা লাভবান হবো বলে আশা করছি। গত বছর ২০ লক্ষ টাকা লাভবান হয়েছিলাম। আমার বাগানের বরই প্রতিদিনই ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। তবে এবার বরইয়ের দাম বেশি ও বাম্পার ফলন পাওয়ায় বেশী লাভবান হবো বলে আশা করছি ।

 

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বরই চাষ হয়েছে ৬২৫ হেক্টর জমিতে যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১২৫ মেঃ টন। তবে গোমস্তাপুর উপজেলার সামিউল হক নামের ওই ব্যক্তি খুবই পরিশ্রমী। তিনি তার কাজের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। গত কয়েক বছর ধরেই বরই চাষ করছেন। এ বছর তার বাগানে সর্বোচ্চ ভালো ফলন হয়েছে। আমরা নিয়মিত তার বাগান পরিদর্শনসহ খোঁজ-খবর নিচ্ছি। একই সঙ্গে বরই চাষি সামিউল হকের কোনো সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এছাড়া নতুন করেও কেউ যদি আগ্রহী হয়, উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তার পাশে থাকবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে বকুল ও মিলন

error: Content is protected !!

গোমস্তাপুরে ইউটিউব দেখে বরই চাষ করে স্বাবলম্বী সামিউল

আপডেট টাইম : ৬ ঘন্টা আগে
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

 

জীবিকার তাগিদে ৮ বছর প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি, অবশেষে দেশে ফিরে বরই চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে কৃষি উদ্যোক্তা সামিউল হকের। সামিউল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ডাইংপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মোঃ মোজাম্মেল হকের ছেলে।

 

ইউটিউব দেখে বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষ শুরু করে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামিউল হক। রহনপুর পৌর এলাকার প্রাসাদ পুর মৌজায় আইস বিলের কোল ঘেঁষে বর্তমানে তিনি ৪০ বিঘা জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, ভারত সুন্দরী, বেবি কুল, আগাম গুটি কুল, নারিকেল হক ও বাউ কুল নামের বরই চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তিনি বরইয়ের পাশাপাশি বাগানে বারোমাসি কাটিমন আম, মাল্টা, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বারতি আয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকায়। প্রতিদিনই তার বাগানে এলাকাবাসী ভির জমাচ্ছে দেখার জন্য। বরই গাছে থোকায় থোকায় বরই দৃষ্টি কাড়ছে দর্শনার্থীদের।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গা জুড়ে লাগানো বরই গাছগুলোতে ফলে ভরপুর হয়ে আছে এবং শ্রমিকরা সেই বরই ভাঙ্গতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুলছে লাল সোনালি রঙের বরই গাছ গুলো। শীতের মিষ্টি রোদ পড়ে রঙিন বরই গুলো চকচক করছে। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছের ডাল। বরই উপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতেও খুব সুস্বাদু। বাজারে এ বরইয়ের চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। ফলে চাষের সকল খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামিউল হক। বরই চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং এ বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।

 

 

বাগানের শ্রমিক নূরে আলম জানান, এই বাগান প্রতিদিনই প্রায় ১৫/২০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করি। আমি তিন বছর যাবত এই বাগানে নিয়মিত কাজ করি। এই বাগানটি গড়ে উঠাতে আমাদের একটা কর্ম সংস্থান হয়েছে। আমাদের পরিবার সচ্ছলতা এসেছে। আমি দিনে ৫০০ টাকা মুজরি পাই। আমাদের উপজেলায় এই বাগানটি সবচেয়ে বড় এবং উৎপাদন বেশী। তাই দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই নতুন উদ্যোক্ত হওয়ার জন্য প্রতিদিনই বাগান প্রদর্শনে আসছেন।

 

মোঃ সামিউল হক জানান, জীবিকার তাগীদে দীর্ঘ ৮ বছর ইরাকে ছিলাম। আমরা ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয় বাবা একজন পল্লী চিকিৎসক। আমি কয়েক বছর আগে দেশে আসি। বিদেশে থেকে ইউটিউব দেখে দেখে স্বপ্ন বুনি কৃষি উদ্যোক্ত হওয়ার। পরে দেশে এসে নিকট আত্মীয়র উৎসাহে এবং অন্যের ১৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলা থেকে চারা নিয়ে এসে ২০১৯ সালে শুরু করি বরই বাগান। পরের বছর আবার ২৪ বিঘা জমি লিজ নিই। মোট ৪০ বিঘা জমিতেই বরই বাগান গড়ে তুলি। বরইয়ের পাশাপাশি বারোমাসি আমসহ পেঁপে গাছ লাগায়। আমার বরই বাগানের বয়স ৫ বছর গত তিন বছরে আমার লাভের পরিমান ছিলো খুবই কম। তবে গত দুই বছর থেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকারের পরামর্শ ক্রমে ও উৎসাহ পেয়ে আমি এখন সফল কৃষি উদ্যোক্তা। নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করে যথাসময়ে আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে আমাকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা করায় ধন্যবাদ জানায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকারকে।

 

আমার ৪০ বিঘা জমিতে এ বছর বাগানের জমির লিজের টাকা , কীটনাশক, সার, সেচ ও শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ। তিনি আরো জানান, এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় বিঘা প্রতি উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ৬০ থেকে ৭০ মন। বাগান থেকেই প্রতিমন বরই বিক্রি করছি ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকদ মন। বিঘা প্রতি বরইয়ের উৎপাদন প্রায় ২ লক্ষ টাকা ছারিয়ে যাবে বলে আশা করছি। সে হিসেবে এই বাগান থেকে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার বরই বিক্রির আশা করছি। তাতে বছরের সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা লাভবান হবো বলে আশা করছি। গত বছর ২০ লক্ষ টাকা লাভবান হয়েছিলাম। আমার বাগানের বরই প্রতিদিনই ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। তবে এবার বরইয়ের দাম বেশি ও বাম্পার ফলন পাওয়ায় বেশী লাভবান হবো বলে আশা করছি ।

 

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, এই বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বরই চাষ হয়েছে ৬২৫ হেক্টর জমিতে যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১২৫ মেঃ টন। তবে গোমস্তাপুর উপজেলার সামিউল হক নামের ওই ব্যক্তি খুবই পরিশ্রমী। তিনি তার কাজের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। গত কয়েক বছর ধরেই বরই চাষ করছেন। এ বছর তার বাগানে সর্বোচ্চ ভালো ফলন হয়েছে। আমরা নিয়মিত তার বাগান পরিদর্শনসহ খোঁজ-খবর নিচ্ছি। একই সঙ্গে বরই চাষি সামিউল হকের কোনো সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এছাড়া নতুন করেও কেউ যদি আগ্রহী হয়, উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তার পাশে থাকবে।


প্রিন্ট