মোক্তার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজবাড়ী জেলার পাংশায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নিহত পাংশা মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মিজানুর রহমানের শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে পাংশা মডেল থানা পুলিশ থানা মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান এবং জাগির কয়া গ্রামে নিহত ওসি এস.এম. মিজানুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জানা যায়, শুক্রবার বিকাল ৩টায় পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ জাগির কয়া গ্রামে এস.এম. মিজানুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এরপর নিহত ওসি এম.এম. মিজানুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পুইজোর সিদ্দিকিয়া ফজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা সাঈদ আহম্মদ।
অনুষ্ঠানে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, অত্র এলাকায় তৎকালে সন্ত্রাসী বাহিনীর তৎপরতা ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- মানুষের জান মালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারী দায়িত্ব কর্তব্য পালনে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে তৎকালীন পাংশা মডেল থানার ওসি এস.এম. মিজানুর রহমান দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। তার মৃত্যু শহীদি মৃত্যু। তার জীবন উৎসর্গের মাধ্যমে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জান মালের নিরাপত্তা বিধানে পাংশা মডেল থানা পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিদের নির্মূলে এলাকার মানুষের সহযোগিতা দরকার। এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিদের অবস্থান সম্পর্কে গোপনে পুলিশকে তথ্য প্রদানের আহবান জানান তিনি।
পাংশা মডেল থানার এসআই মিনহাজ উদ্দিন ও এসআই নজরুল ইসলাম, পাট্টা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামসুর রহমান খান (গাজী খান), পাট্টা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আকিদুল ইসলাম, মৃগী শহীদ দিয়ানত ডিগ্রি কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রধান মো. আরিফুল ইসলাম, পাট্টা ইউপির বর্তমান ও সাবেক একাধিক ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৩১ জানুয়ারী রাতে পাংশার পাট্টা ইউপির জাগির কয়া গ্রামে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাংশা মডেল থানার তৎকালীন ওসি এস.এম. মিজানুর রহমান নিহত হন। রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ২০০৭ সালে ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর তৎকালীন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান স্মৃতিস্তম্ভের নামফলক উন্মোচন করেন।
প্রিন্ট