ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার ভেড়ামারা শিক্ষা অফিসারকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ফরিদপুরে ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত Logo চট্টগ্রামের পটিয়ায় গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo কৃষকের জমিতে বেড়া দিতে আ.লীগ নেতার ‘বাঁধা ও মারধর’ Logo যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ২০ লাখ টাকাসহ ঢাকা বিমানবন্দরে আটক, অতঃপর মুক্ত Logo তানোরে মামলাবাজ হিটলুর দৌরাত্ম্যে গ্রামবাসি অতিষ্ঠ Logo আলমডাঙ্গায় মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo নাজির শাহীনের হাতে আলাদিনের চেরাগ ! Logo গোপালগঞ্জে অবৈধভাবে বালু কাটা বন্ধ হওয়ায় প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা Logo নারীদের স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে এলাকার উন্নয়ন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দার সংগ্রামী মিলির পাশে দাড়ালেন ইউএনও

নগরকান্দার সংগ্রামী চা দোকানী মিলির পাশে দাড়ালেন উপজেলা প্রশাসন। এখন কিছুটা কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে সংগ্রামী মেয়ে মিলি আক্তারের। স্বপ্ন পূরণে তার পড়োশোনার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু মিলি আক্তারের বাড়িতে যান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা, চাল-ডাল, আটা, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।

এছাড়া ইউএনও নিজে নগদ ৪ হাজার টাকা দেন। এছাড়া মিলির পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি সরকারিভাবে বিনামূল্যে একটি ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।

ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের ধুৎরাহাটি গ্রামের আঃ বারেক ব্যাপারীর মেয়ে মিলি আক্তার। সে ধুৎরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যেও সে জেএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। মিলির বাবা বারেক ব্যাপারী স্থানীয় রসুলপুর বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন। ছয়-সাত বছর ধরে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারেননি।

মা সূর্য খাতুন বৃদ্ধা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। চার ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের পরে সবাই পেতেছেন আলাদা সংসার। একমাত্র মিলিই থাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের ও বাবা-মায়ের পেটের তাগিদে মিলি আক্তার হাতে তুলে নেয় গরম চায়ের কেটলি।

এ বিষয়ে ইউএনও জেতী প্রু বলেন, ‘মিলির সংগ্রামী জীবন। তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Litu Sikder

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার ভেড়ামারা শিক্ষা অফিসারকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

error: Content is protected !!

নগরকান্দার সংগ্রামী মিলির পাশে দাড়ালেন ইউএনও

আপডেট টাইম : ০৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
শফিকুল খান জনি, নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

নগরকান্দার সংগ্রামী চা দোকানী মিলির পাশে দাড়ালেন উপজেলা প্রশাসন। এখন কিছুটা কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে সংগ্রামী মেয়ে মিলি আক্তারের। স্বপ্ন পূরণে তার পড়োশোনার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু মিলি আক্তারের বাড়িতে যান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা, চাল-ডাল, আটা, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।

এছাড়া ইউএনও নিজে নগদ ৪ হাজার টাকা দেন। এছাড়া মিলির পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি সরকারিভাবে বিনামূল্যে একটি ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।

ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের ধুৎরাহাটি গ্রামের আঃ বারেক ব্যাপারীর মেয়ে মিলি আক্তার। সে ধুৎরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যেও সে জেএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। মিলির বাবা বারেক ব্যাপারী স্থানীয় রসুলপুর বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন। ছয়-সাত বছর ধরে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারেননি।

মা সূর্য খাতুন বৃদ্ধা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। চার ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের পরে সবাই পেতেছেন আলাদা সংসার। একমাত্র মিলিই থাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের ও বাবা-মায়ের পেটের তাগিদে মিলি আক্তার হাতে তুলে নেয় গরম চায়ের কেটলি।

এ বিষয়ে ইউএনও জেতী প্রু বলেন, ‘মিলির সংগ্রামী জীবন। তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’


প্রিন্ট