ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার বিতরণ Logo পদ্মায় কাঙ্খিত পানি না থাকায়, জিকে’র মেইন তিনটি সেচ পাম্প বন্ধ Logo পেঁয়াজ বীজ কিনে কৃষকেরা প্রতারিতঃ থানায় অভিযোগ Logo গাজীপুরে শীতার্থদের মাঝে বিএনপি’র কম্বল বিতরন Logo রাজশাহীতে জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন Logo মধুখালীতে রাসবিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে একটি পুকুর কুড়ি পরিবারের দুর্ভোগ Logo মাগুরা সদর উপজেলার ৭ নং মঘী ইউনিয়নে কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo মধুখালীতে লালতীর সীড আয়োজিত ‘কৃষক মাঠ’ দিবস অনুষ্ঠিত Logo খোকসায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার প্রথম পর্ব সমাপ্তি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ট্রেন বন্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজশাহী স্টেশনে ভাংচুর চালালেন যাত্রীরা

ফিরোজ আলম, মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। এভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে তারা বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন কয়েকশো যাত্রী। সকাল প্রায় সাড়ে ৬টা পর থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে।

 

রাজশাহী স্টেশন ছাড়েনি কোনো ট্রেন। রাজশাহী-ঢাকাগামী আন্তঃনগর, লোকাল মেইলসহ সব ধরনের ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শত শত যাত্রী। তারা ভোর থেকেই রাজশাহী স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে ট্রেন না পেয়ে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন যাত্রীরা।

 

ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন।

 

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের (ভারপ্রাপ্ত) স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল আলম বলেন, সকাল প্রায় সাড়ে ৬টা পর থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ও দরজা ভাঙচুর করেন। এ সময় অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন। পরে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন।

 

শহীদুল আলম বলেন, যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তাদের কাউন্টার থেকেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং যে যখন আসছে তখন তাকে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে এখনো চলমান রয়েছে। আর যারা অনলাইনে টিকিট কাটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া বিষয় বলেন এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এখন স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।

 

তিনি জানান, সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির কারণে ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রাজশাহী থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। তবে মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যের ছয়টি ট্রেন ছিল। এসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি।

 

উল্লেখ্য, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতার নিরসন না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

 

রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসাবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার বিতরণ

error: Content is protected !!

ট্রেন বন্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজশাহী স্টেশনে ভাংচুর চালালেন যাত্রীরা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
ফিরোজ আলম, মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

ফিরোজ আলম, মোহনপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। এভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে তারা বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন কয়েকশো যাত্রী। সকাল প্রায় সাড়ে ৬টা পর থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে।

 

রাজশাহী স্টেশন ছাড়েনি কোনো ট্রেন। রাজশাহী-ঢাকাগামী আন্তঃনগর, লোকাল মেইলসহ সব ধরনের ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শত শত যাত্রী। তারা ভোর থেকেই রাজশাহী স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে ট্রেন না পেয়ে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন যাত্রীরা।

 

ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন।

 

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের (ভারপ্রাপ্ত) স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল আলম বলেন, সকাল প্রায় সাড়ে ৬টা পর থেকে ৮টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চলে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ও দরজা ভাঙচুর করেন। এ সময় অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। যাত্রীরা স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন। পরে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন।

 

শহীদুল আলম বলেন, যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তাদের কাউন্টার থেকেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং যে যখন আসছে তখন তাকে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে এখনো চলমান রয়েছে। আর যারা অনলাইনে টিকিট কাটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া বিষয় বলেন এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এখন স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।

 

তিনি জানান, সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির কারণে ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত রাজশাহী থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। তবে মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যের ছয়টি ট্রেন ছিল। এসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি।

 

উল্লেখ্য, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতার নিরসন না হওয়ায় সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

 

রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসাবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট