ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ Logo বাইসাইকেল নিয়ে সেতুর উপরে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেলাে শুভ’র Logo রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি’র গোছানো মাঠ নষ্টের চেষ্টা Logo রাজশাহীতে আনসার ও ভিডিপি’র মতবিনিময় সভা Logo ফরিদপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে নারীদের এবং স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবেদনশীল কর্মশালা Logo বাঘায় আনিসুরকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার রায়হানের Logo কালুখালীতে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ Logo জুলাই গণঅভুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে বাগাতিপাড়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo গোয়ালন্দে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে বর্ষার শুরুতে নৌকা তৈরির হিড়িক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র বাহক নৌযান (নৌকা) তৈরীর বর্তমানে হিড়িক পড়েছে। উপজেলা সদরের সাড়ে সাতরশি বাজার, সদরপুর বাজার, পিঁয়াজখালী বাজার ও আকটেরচর বাজারে বর্তমানে নৌকা তৈরির উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

বর্ষা এলে চরের মানুষের জিবনসঙ্গি হিসাবে ব্যবহারিত হয় এসব নৌকা। এমনকি বর্ষার মৌসুমে বাড়ি থেকে বের হতে হলে নৌকার কোন বিকল্প নেই চরের মানুষের। ঐ সকল নৌকা দিয়ে চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে ও গরু-ছাগলের ঘাষ কেটে জীবন কাটায়।

উক্ত নৌযান চরের মনুষ এক বছর ব্যবহার করে পরের বছর আবার নতুন নৌকা কিনে থাকে। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলে এখানে নৌযান তৈরীর হিড়িক পড়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন বাজার জুড়ে। সম্প্রতি সদরপুরের বিভিন্ন এলাকা জুরে দেখা গেছে, কারিগররা নতুন নৌকা তৈরি এবং পুরাতন নৌকা মেরামতের মহাব্যস্ত সময় পার করছে।

জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া, চরমানাইড়, চরনাসিরপুর, আকোটেরচর এলাকার মানুষ বর্ষায় ৪ থেকে ৫ মাস বা নিচু এলাকায় এর চেয়েও দীর্ঘ সময় দরে পানিবন্দি থাকে। এসব পানিবন্দি মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। তাই বর্ষা এলেই এলাকারয় নৌকার কদর বেড়ে যায়, সঙ্গে কদও বাড়ে নৌকা তৈরির কারিগরদেরও। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু হয় নতুন নৌকা তৈরি আর পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজ।

চৌধুরীর হাট এলাকার লুৎফর কাড়াল, জামাল শিকদার কান্দি গ্রামের আকাব্বর জঙ্গী, চন্দ্র পাড়া এলাকার লতিফ হাওলাদার ও একই এলাকার মোসলেম কাজী বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের একমাত্র নৌকাই বাঁচার সম্ভল। বর্তমানে করোনার জন্য লকডাউন চলায় মানুষ বাজারে আসছেনা এতে আমরা আতঙ্কে আছি।

নৌকা বিক্রয়ের সাড়ে সাত রশি বাজারের শুশান্ত বাড়ৈ, পিয়াজখালী হাটের মোহন বাড়ৈ ও আকটেরচর বাজারের দীনেশ মিস্্রী জানান, অতীতে তারা সারা বছর নৌকা তৈরী করে জীবীকা চালাত। বর্তমানে বর্ষার শুরুর জৈষ্ঠ,আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস শুধু নৌকা তৈরী করে। অবশিষ্ঠ ৯ মাস অলস জীবণ কাটায়।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ

error: Content is protected !!

সদরপুরে বর্ষার শুরুতে নৌকা তৈরির হিড়িক

আপডেট টাইম : ০২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
মোঃ হুমায়ুন কবির (তুহিন) সদরপুর, (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র বাহক নৌযান (নৌকা) তৈরীর বর্তমানে হিড়িক পড়েছে। উপজেলা সদরের সাড়ে সাতরশি বাজার, সদরপুর বাজার, পিঁয়াজখালী বাজার ও আকটেরচর বাজারে বর্তমানে নৌকা তৈরির উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

বর্ষা এলে চরের মানুষের জিবনসঙ্গি হিসাবে ব্যবহারিত হয় এসব নৌকা। এমনকি বর্ষার মৌসুমে বাড়ি থেকে বের হতে হলে নৌকার কোন বিকল্প নেই চরের মানুষের। ঐ সকল নৌকা দিয়ে চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে ও গরু-ছাগলের ঘাষ কেটে জীবন কাটায়।

উক্ত নৌযান চরের মনুষ এক বছর ব্যবহার করে পরের বছর আবার নতুন নৌকা কিনে থাকে। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলে এখানে নৌযান তৈরীর হিড়িক পড়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন বাজার জুড়ে। সম্প্রতি সদরপুরের বিভিন্ন এলাকা জুরে দেখা গেছে, কারিগররা নতুন নৌকা তৈরি এবং পুরাতন নৌকা মেরামতের মহাব্যস্ত সময় পার করছে।

জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া, চরমানাইড়, চরনাসিরপুর, আকোটেরচর এলাকার মানুষ বর্ষায় ৪ থেকে ৫ মাস বা নিচু এলাকায় এর চেয়েও দীর্ঘ সময় দরে পানিবন্দি থাকে। এসব পানিবন্দি মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। তাই বর্ষা এলেই এলাকারয় নৌকার কদর বেড়ে যায়, সঙ্গে কদও বাড়ে নৌকা তৈরির কারিগরদেরও। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু হয় নতুন নৌকা তৈরি আর পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজ।

চৌধুরীর হাট এলাকার লুৎফর কাড়াল, জামাল শিকদার কান্দি গ্রামের আকাব্বর জঙ্গী, চন্দ্র পাড়া এলাকার লতিফ হাওলাদার ও একই এলাকার মোসলেম কাজী বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের একমাত্র নৌকাই বাঁচার সম্ভল। বর্তমানে করোনার জন্য লকডাউন চলায় মানুষ বাজারে আসছেনা এতে আমরা আতঙ্কে আছি।

নৌকা বিক্রয়ের সাড়ে সাত রশি বাজারের শুশান্ত বাড়ৈ, পিয়াজখালী হাটের মোহন বাড়ৈ ও আকটেরচর বাজারের দীনেশ মিস্্রী জানান, অতীতে তারা সারা বছর নৌকা তৈরী করে জীবীকা চালাত। বর্তমানে বর্ষার শুরুর জৈষ্ঠ,আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস শুধু নৌকা তৈরী করে। অবশিষ্ঠ ৯ মাস অলস জীবণ কাটায়।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।


প্রিন্ট