ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র বাহক নৌযান (নৌকা) তৈরীর বর্তমানে হিড়িক পড়েছে। উপজেলা সদরের সাড়ে সাতরশি বাজার, সদরপুর বাজার, পিঁয়াজখালী বাজার ও আকটেরচর বাজারে বর্তমানে নৌকা তৈরির উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বর্ষা এলে চরের মানুষের জিবনসঙ্গি হিসাবে ব্যবহারিত হয় এসব নৌকা। এমনকি বর্ষার মৌসুমে বাড়ি থেকে বের হতে হলে নৌকার কোন বিকল্প নেই চরের মানুষের। ঐ সকল নৌকা দিয়ে চরের মানুষ বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে ও গরু-ছাগলের ঘাষ কেটে জীবন কাটায়।
উক্ত নৌযান চরের মনুষ এক বছর ব্যবহার করে পরের বছর আবার নতুন নৌকা কিনে থাকে। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলে এখানে নৌযান তৈরীর হিড়িক পড়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন বাজার জুড়ে। সম্প্রতি সদরপুরের বিভিন্ন এলাকা জুরে দেখা গেছে, কারিগররা নতুন নৌকা তৈরি এবং পুরাতন নৌকা মেরামতের মহাব্যস্ত সময় পার করছে।
জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া, চরমানাইড়, চরনাসিরপুর, আকোটেরচর এলাকার মানুষ বর্ষায় ৪ থেকে ৫ মাস বা নিচু এলাকায় এর চেয়েও দীর্ঘ সময় দরে পানিবন্দি থাকে। এসব পানিবন্দি মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। তাই বর্ষা এলেই এলাকারয় নৌকার কদর বেড়ে যায়, সঙ্গে কদও বাড়ে নৌকা তৈরির কারিগরদেরও। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু হয় নতুন নৌকা তৈরি আর পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজ।
চৌধুরীর হাট এলাকার লুৎফর কাড়াল, জামাল শিকদার কান্দি গ্রামের আকাব্বর জঙ্গী, চন্দ্র পাড়া এলাকার লতিফ হাওলাদার ও একই এলাকার মোসলেম কাজী বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের একমাত্র নৌকাই বাঁচার সম্ভল। বর্তমানে করোনার জন্য লকডাউন চলায় মানুষ বাজারে আসছেনা এতে আমরা আতঙ্কে আছি।
নৌকা বিক্রয়ের সাড়ে সাত রশি বাজারের শুশান্ত বাড়ৈ, পিয়াজখালী হাটের মোহন বাড়ৈ ও আকটেরচর বাজারের দীনেশ মিস্্রী জানান, অতীতে তারা সারা বছর নৌকা তৈরী করে জীবীকা চালাত। বর্তমানে বর্ষার শুরুর জৈষ্ঠ,আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস শুধু নৌকা তৈরী করে। অবশিষ্ঠ ৯ মাস অলস জীবণ কাটায়।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা।
প্রিন্ট