আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে মেসার্স ইষ্টান্ডার্ড ওয়ান ফিড নামের একটি কারখানার বিরুদ্ধে মৎস্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই মাছের খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করণের অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা জানান,তানোরের কালীগঞ্জহাট-কাঁকনহাট রাস্তার কালীগঞ্জ মাঠে তিন ফসলী জমিতে এই ফিড কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।কিন্ত্ত তিনফসলী জমিতে ফিড কারখানা গড়ে তোলা হলেও জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হয়নি।এতে শিল্প কারখানার পরিবর্তে কৃষি জমির ট্যাক্স দিয়ে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া হচ্ছে বলেও এলাকাবাসী মনে করেছে।
সুত্র জানায়, মেসার্স ইস্টান্ডার্ড ওয়ান ফিড কোনো ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই মৎস্য খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে ল্যাব টেস্টের অনুমোদনও নেই। এমনকি এই জন্য পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়।‘মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০’ ও বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ী ফিশ ফিড উৎপাদন, অনুমোদন ছাড়া বিক্রি, লেভেলিং এবং মজুত নিষিদ্ধ। উৎপাদিত খাদ্য আসল নকল না ভেজাল সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নাই সাধারণ মৎস্যচাষীদের।আর এসুযোগ কাজে লাগিয়ে মানহীন খাবার উৎপাদন করছে কারখানা মালিক বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,”কারখানার নাম ‘স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান ফুড’ হলেও কারখানার মালিক ভেজাল মৎস্য খাদ্য উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠিত কিছু কোম্পানির নামে বাজারজাত করে আসছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, ওই কারখানায় মাছের খাবার উৎপাদনে মৎস্য বিভাগের কোনো ছাড়পত্র নাই। তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ইস্টান্ডার্ড ওয়ান ফিড কারখানার ম্যানেজার মাসুদ বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না,তিনি মালিকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে ইস্টান্ডার্ড ওয়ান ফিড কারখানার স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মৎস্য বিভাগের ছাড়পত্র নাই এটা সত্যি, তবে আগামি দুতিন মাসের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন।তিনি বলেন,অন্য কোম্পানির নামে ফিড বাজারজাত করণের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রিন্ট