ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার বিতরণ Logo পদ্মায় কাঙ্খিত পানি না থাকায়, জিকে’র মেইন তিনটি সেচ পাম্প বন্ধ Logo পেঁয়াজ বীজ কিনে কৃষকেরা প্রতারিতঃ থানায় অভিযোগ Logo গাজীপুরে শীতার্থদের মাঝে বিএনপি’র কম্বল বিতরন Logo রাজশাহীতে জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলার শুভ উদ্বোধন Logo মধুখালীতে রাসবিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে একটি পুকুর কুড়ি পরিবারের দুর্ভোগ Logo মাগুরা সদর উপজেলার ৭ নং মঘী ইউনিয়নে কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo মধুখালীতে লালতীর সীড আয়োজিত ‘কৃষক মাঠ’ দিবস অনুষ্ঠিত Logo খোকসায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার প্রথম পর্ব সমাপ্তি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১৮ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

মোঃ তাহসিনুল আলম সৌরভ, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ওই ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার ভোরে চরমজিদ ভূঞারহাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, বাজারের কাইয়ুম মোটর অ্যান্ড পার্টসের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসেন। এর মধ্যে আগুন দ্রুত পুরো দক্ষিণের দোকানগুলোর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও আগুনে মার্কেটের হুন্ডা গ্যারেজ, মুদি গোডাউন, ওষুধের দোকান, যমুনা ইলেকট্রিকসের অস্থায়ী গুদাম, মা জননী ইলেকট্রনিকসসহ অন্তত ১৮টি দোকান পুড়ে যায়।

 

কাইয়ুম মোটর অ্যান্ড পার্টসের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম উদ্দিন জনি বলেন, কয়েকটি পণ্যের জন্য ব্যাংকে টিটি করতে দোকানে নগদ ২৪ লাখ টাকা ক্যাশ রেখেছিলাম। হঠাৎ আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানের সামনে এসে দেখি আমার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো মালামাল ছিল। আমি শেষ হয়ে গেলাম।

 

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হওয়া মা জননী ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড পার্টস দোকানের স্বত্বাধিকারী কাজল বলেন, এখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি করেন। অনেক দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর মধ্যে আমাদের সব ব্যবসায়ীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

 

সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুর নবী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার বিতরণ

error: Content is protected !!

নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ১৮ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
মোঃ তাহসিনুল আলম সৌরভ, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী :

মোঃ তাহসিনুল আলম সৌরভ, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ওই ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার ভোরে চরমজিদ ভূঞারহাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, বাজারের কাইয়ুম মোটর অ্যান্ড পার্টসের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসেন। এর মধ্যে আগুন দ্রুত পুরো দক্ষিণের দোকানগুলোর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও আগুনে মার্কেটের হুন্ডা গ্যারেজ, মুদি গোডাউন, ওষুধের দোকান, যমুনা ইলেকট্রিকসের অস্থায়ী গুদাম, মা জননী ইলেকট্রনিকসসহ অন্তত ১৮টি দোকান পুড়ে যায়।

 

কাইয়ুম মোটর অ্যান্ড পার্টসের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম উদ্দিন জনি বলেন, কয়েকটি পণ্যের জন্য ব্যাংকে টিটি করতে দোকানে নগদ ২৪ লাখ টাকা ক্যাশ রেখেছিলাম। হঠাৎ আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানের সামনে এসে দেখি আমার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো মালামাল ছিল। আমি শেষ হয়ে গেলাম।

 

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হওয়া মা জননী ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড পার্টস দোকানের স্বত্বাধিকারী কাজল বলেন, এখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি করেন। অনেক দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর মধ্যে আমাদের সব ব্যবসায়ীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

 

সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুর নবী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।


প্রিন্ট