ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলের আমাদা কলেজে ষষ্ঠবার্ষিকী পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত

খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা আদর্শ কলেজে ষষ্ঠবার্ষিকী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) কলেজ চত্বরে দিনব্যাপী এই পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠাউৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। এছাড়া, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নড়াইলের আমাদা গ্রামের সন্তান পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এস এম আবুল হাসান। স্বাগত ভাষণ দেন কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) আহসান মাহমুদ রাসেল, লোহাগড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিঠুন মৈত্র, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুজ্জামান হায়াতসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল, রবিউল ইসলাম খান, সুলতান মাহমুদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

 

এবারের পিঠা উৎসবের স্টলগুলো ছিল- সোনালি সকাল পিঠাঘর, রসের হাঁড়ি, জামাই আদর পিঠাঘর, শ্বশুরবাড়ি মধুরহাড়ি পিঠাঘর, রসালো, পিঠাপুলি ও ননদ-ভাবী পিঠাঘর। এসব স্টলে কলেজ শিক্ষার্থীদের তৈরি দৃষ্টিনন্দন নকশা আর ভিন্ন স্বাদের হরেক রকম পিঠাপুলি দৃশ্যমান ছিল। হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পিঠাউৎসব জমজমাট হয়ে ওঠে।

 

দৃষ্টিনন্দন নকশা খচিত পিঠাপুলির মধ্যে ছিল- চিতই পিঠা, কুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধকুলি, ধুপি পিঠা, হাত আনদোসা, রসপাকান, খড়েপাকান, ফুলপাকান, পদ্মপাকান, ঝুনঝুনিপাকান, ভাজা পিঠা, তকতি পিঠা, নকশা পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, জজি পিঠা, আদিপাকান, আপেল পিঠা, নাড়– পিঠা, খেজুর পিঠা, দুধরুটি, লাভ পিঠা, ডিম পিঠা, নারকেলের চিড়া, দুধচিতই, পাতা পিঠা, ফুল পিঠা, ত্রিভুজ পিঠা, গোপাল পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপ্টা, পুলি পিঠা, দুধপুলি, জিলাপি পিঠা, ধুনেপাতা চিতই, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠাসহ অর্ধশতাধিক পিঠার সমাহার।

 

কলেজটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ভালো পড়ালেখার পাশাপাশি বার্ষিক ক্রীড়া, পিঠাউৎসব, শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় দিবস পালন করে আসছে।

 

আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান বলেন, “আগের দিনে গ্রামগঞ্জে হরেক রকম পিঠা তৈরি হতো। যান্ত্রিকতার যাতাকলে অবাহমান বাঙলা থেকে পিঠার আয়োজন কিছুটা হলেও কমে গেছে। বিশেষ করে এ প্রজন্মের কাছে পিঠার আদি ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে ষষ্ঠবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। আগামীতেও আমাদের এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”

 

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, “বাঙালির হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক পিঠাপুলির আয়োজন। আবহমান বাংলার এই ঐতিহ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আজকের দিনটি একেবারে অন্যরকম এবং এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে আমাদের সকলকে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

নড়াইলের আমাদা কলেজে ষষ্ঠবার্ষিকী পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল :

খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা আদর্শ কলেজে ষষ্ঠবার্ষিকী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) কলেজ চত্বরে দিনব্যাপী এই পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠাউৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। এছাড়া, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নড়াইলের আমাদা গ্রামের সন্তান পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এস এম আবুল হাসান। স্বাগত ভাষণ দেন কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) আহসান মাহমুদ রাসেল, লোহাগড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিঠুন মৈত্র, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়াতুজ্জামান হায়াতসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল, রবিউল ইসলাম খান, সুলতান মাহমুদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

 

এবারের পিঠা উৎসবের স্টলগুলো ছিল- সোনালি সকাল পিঠাঘর, রসের হাঁড়ি, জামাই আদর পিঠাঘর, শ্বশুরবাড়ি মধুরহাড়ি পিঠাঘর, রসালো, পিঠাপুলি ও ননদ-ভাবী পিঠাঘর। এসব স্টলে কলেজ শিক্ষার্থীদের তৈরি দৃষ্টিনন্দন নকশা আর ভিন্ন স্বাদের হরেক রকম পিঠাপুলি দৃশ্যমান ছিল। হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পিঠাউৎসব জমজমাট হয়ে ওঠে।

 

দৃষ্টিনন্দন নকশা খচিত পিঠাপুলির মধ্যে ছিল- চিতই পিঠা, কুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধকুলি, ধুপি পিঠা, হাত আনদোসা, রসপাকান, খড়েপাকান, ফুলপাকান, পদ্মপাকান, ঝুনঝুনিপাকান, ভাজা পিঠা, তকতি পিঠা, নকশা পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, জজি পিঠা, আদিপাকান, আপেল পিঠা, নাড়– পিঠা, খেজুর পিঠা, দুধরুটি, লাভ পিঠা, ডিম পিঠা, নারকেলের চিড়া, দুধচিতই, পাতা পিঠা, ফুল পিঠা, ত্রিভুজ পিঠা, গোপাল পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপ্টা, পুলি পিঠা, দুধপুলি, জিলাপি পিঠা, ধুনেপাতা চিতই, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠাসহ অর্ধশতাধিক পিঠার সমাহার।

 

কলেজটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ভালো পড়ালেখার পাশাপাশি বার্ষিক ক্রীড়া, পিঠাউৎসব, শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় দিবস পালন করে আসছে।

 

আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান বলেন, “আগের দিনে গ্রামগঞ্জে হরেক রকম পিঠা তৈরি হতো। যান্ত্রিকতার যাতাকলে অবাহমান বাঙলা থেকে পিঠার আয়োজন কিছুটা হলেও কমে গেছে। বিশেষ করে এ প্রজন্মের কাছে পিঠার আদি ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে ষষ্ঠবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। আগামীতেও আমাদের এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”

 

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, “বাঙালির হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক পিঠাপুলির আয়োজন। আবহমান বাংলার এই ঐতিহ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আজকের দিনটি একেবারে অন্যরকম এবং এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে আমাদের সকলকে।”


প্রিন্ট