ঢাকা , সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জিয়াউর রহমান ছিলেন অত্যন্ত সৎ এবং দেশপ্রেমিকঃ -অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ এবং দেশপ্রেমিক। তার কর্মস্পৃহা এবং নেতৃত্বের কারনে বিএনপি আজ বাংলাদেশে জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি গঠন করেছিলেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। তিনিই একমাত্র সৈনিক যিনি জীবিত অবস্থায় সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব অর্জন করেছিলেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নার্গিস বেগম।

 

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরো বলেন, ৭ নভেম্বরের সিপাহি- জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে পায়। জিয়াউর রহমানকে শেখ হাসিনা অখ্যাত মেজর হিসেবে যে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জনগন তা কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারেনি। আর মেনে নিতে পারেনি বলেই ১৯৯১ সালে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমেই তার প্রমাণ দিয়েছে। জিয়াউর রহমান সেদিন হঠাৎ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বিষয়টি এমন নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিনি পাকিস্তানেরও সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব অর্জন করেছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীতে তিনি বরাবরই একজন সাহসী যোদ্ধা এবং বীরপুরুষ হিসেবে অভিহিত ছিলেন।

 

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ২৫ মার্চের কালরাত্রীর পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন কার্যতঃ আত্মসমর্পণ করেছিলেন তখন দিকভ্রান্ত জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছিল জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার একটি ঘোষণা “আমি মেজর জিয়া বলছি “। এই কারণেই দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারো পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

 

দেশের চলমান সংষ্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার কিভাবে করতে হয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি তার কর্মস্পৃহার মাধ্যমে প্রমাণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি সংষ্কারের কথা অনেক আগে থেকেই উল্লেখ করেছে। খাল খননের মাধ্যমে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

 

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন, যশোর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ন আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, অ্যাড. জাফর সাদিক, যশোর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক। যশোর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম, নগর বিএনপি’র সভাপতি মুল্লুক চান, কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন যশোর নগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

জিয়াউর রহমান ছিলেন অত্যন্ত সৎ এবং দেশপ্রেমিকঃ -অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :

কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ এবং দেশপ্রেমিক। তার কর্মস্পৃহা এবং নেতৃত্বের কারনে বিএনপি আজ বাংলাদেশে জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি গঠন করেছিলেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। তিনিই একমাত্র সৈনিক যিনি জীবিত অবস্থায় সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব অর্জন করেছিলেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নার্গিস বেগম।

 

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরো বলেন, ৭ নভেম্বরের সিপাহি- জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে পায়। জিয়াউর রহমানকে শেখ হাসিনা অখ্যাত মেজর হিসেবে যে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জনগন তা কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারেনি। আর মেনে নিতে পারেনি বলেই ১৯৯১ সালে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমেই তার প্রমাণ দিয়েছে। জিয়াউর রহমান সেদিন হঠাৎ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বিষয়টি এমন নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিনি পাকিস্তানেরও সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব অর্জন করেছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীতে তিনি বরাবরই একজন সাহসী যোদ্ধা এবং বীরপুরুষ হিসেবে অভিহিত ছিলেন।

 

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ২৫ মার্চের কালরাত্রীর পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন কার্যতঃ আত্মসমর্পণ করেছিলেন তখন দিকভ্রান্ত জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছিল জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার একটি ঘোষণা “আমি মেজর জিয়া বলছি “। এই কারণেই দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারো পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

 

দেশের চলমান সংষ্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার কিভাবে করতে হয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি তার কর্মস্পৃহার মাধ্যমে প্রমাণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি সংষ্কারের কথা অনেক আগে থেকেই উল্লেখ করেছে। খাল খননের মাধ্যমে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

 

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন, যশোর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ন আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, অ্যাড. জাফর সাদিক, যশোর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক। যশোর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম, নগর বিএনপি’র সভাপতি মুল্লুক চান, কোতোয়ালী থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন যশোর নগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু।


প্রিন্ট