কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি
অশ্লীলতা পরিহার করে সাগরদাঁড়িতে শালীনতার মধ্যে এবারের মধুমেলা হবে বলে জানিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সাগরদাঁড়িতে অশ্লীলতা পরিহার করে শালীনতার ভেতর দিয়েই অনুষ্ঠিত হবে মধুমেলা। একদিকে বিনোদন, আরেকদিকে ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও মধুসূূদনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা; সবকিছু মিলিয়ে আমরা পরিপূর্ণ একটা মেলায় রূপ দিতে চাই।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসন যশোরের উদ্যোগে কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম আরো বলেন, ‘দর্শনার্থীদের মধুমেলা উপভোগ করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, এনএসআই যশোরের যুগ্ম পরিচালক আবু তাহের পারভেজ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট আল আমিন, র্যাব- ৬ কোম্পানি কমান্ডারের প্রতিনিধি সোহেল আল মুজাহিদ, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সুজন শেখ, সম্রাট হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন।
এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ মধুমেলা বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। সভায় মহাকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাগরদাঁড়ির মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি খসরু পারভেজ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবারের মধুমেলা জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী, বিদায় ঘাট, কপোতাক্ষ নদ পাড়, জমিদার বাড়ির আম্রকাননসহ মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীর পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠবে।’
প্রিন্ট