মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে আজ একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন ডোমাইন পূর্বপাড়ার বাদীর বসতবাড়িতে অজ্ঞাত চোরের চুরির উদ্দেশ্যে গৃহে প্রবেশের ঘটনা এবং তার সঙ্গে জড়িত আসামি গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল সহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় যে, গত ৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলার মধুখালী, বালিয়াকান্দি ও শ্রীপুর থানার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে মধুখালী থানাধীন ডুমাইন খেয়াঘাট এলাকা থেকে আসামী শ্রী পল্লব কুমার রায় (১৯), পিতা- শ্রী পরিমল কুমার রায়, সাং-ডুমাইন বটপাড়া, থানা-মধুখালী, জেলা-ফরিদপুরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায় যে, নেশা করার জন্য টাকা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে বাদীর বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে শ্যামলেন্দু বসু তাকে দেখে ফেলেন। এর পর, শ্যামলেন্দু বসু, তার স্ত্রী কাকলী বসু এবং প্রতিবেশী প্রীতি মালোকে স্টিলের লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ব্যবহৃত স্টিলের লাঠি ও সোল বাদীর বাড়ি থেকে জব্দ করা হয়। আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে, আদালতে তার স্বীকারোক্তি দেন। সে সিআরপিসি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা সোলটি ভিকটিম শ্যামলেন্দু বসু হাতে নিয়ে অজ্ঞাত চোরকে খুঁজতে গিয়ে লুকিয়ে থাকা আসামী পল্লব কুমার রায়কে দেখে ফেলেন। এ সময় পল্লব তাকে স্টিলের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, ফলে তিনি বারান্দায় পড়ে যান এবং হাতে থাকা সোল ছিটকে পড়ে যায়।
বর্তমানে, গ্রেফতারকৃত আসামী শ্রী পল্লব কুমার রায় জেল হাজতে আটক আছেন।
প্রিন্ট