ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, জনজীবন বিপর্যস্ত কুষ্টিয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাসের সঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে সারাদিনেও সূর্যের দেখা মেলেনি। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
সকালের দিকে তীব্র কুয়াশায় যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে। হাড়কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষেরা। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক চলাফেরাও অনেকটা থমকে গেছে।
শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না সল্প আয়ের মানুষেরা। বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় গরম কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের আনাগোনা থাকায় ফুটপাতের বেচাকেনাই জমজমাট হয়ে উঠেছে। নতুন কাপড়ের দাম বৃদ্ধি যাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শহরের এনএস রোডের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনে, মিরপুর পশুহাটসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরনো কাপড়ের পসরা।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আর রশিদ বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের কুষ্টিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সামনে আরো তাপমাত্রা আরো কমবে।
এ আবহাওয়া কর্মকর্তা আরো জানান,১০ ডিগ্রি বা তার নিচে হলে সেটিকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
প্রিন্ট