মোক্তার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
রাজবাড়ী জেলার পাংশা বিএডিসি বীজ উৎপাদন খামারের ২০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০ মে.টন হাইব্রিড এসএল-৮ এইচ জাতের বোরো ধানের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
জানা যায়, ১ম ধাপে ১২ হেক্টর ও ২য় ধাপে ৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এসএল-৮ এইচ জাতের বোরো ধানের বীজ উৎপাদনের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ২ লাইনে পিতৃ সারি চারা রোপন শেষের দিকে। মাতৃ সারি চারা রোপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলক্ষ্যে বিস্তীর্ণ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত বীজতলা পরিচর্যা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন পাংশা বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (খামার) কৃষিবিদ মো. ফারুক হোসেন জানান, এ বছর ১ম ধাপে ১২ হেক্টর ও ২য় ধাপে ৮ হেক্টর মোট ২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এসএল-৮এইচ জাতের বোরো ধানের বীজ উৎপাদন করা হবে। ৪৯.৪০০ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। বীজ উৎপাদনে প্রথমে দুই লাইনে পিতৃ সারি চারা রোপন এবং পরবর্তীতে এর ১৪/১৫ দিন পরে মাতৃ সারি চারা রোপন করতে হয়।
সার্বিক কার্যক্রমে নিয়মিত মনিটরিং করার কথা উল্লেখ করে কৃষিবিদ মো. ফারুক হোসেন আরো বলেন, গত বছর ১৫ হেক্টর জমিতে বীজ উৎপাদন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা সফল হওয়ায় এ বছর ২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এসএল-৮এইচ জাতের বোরো ধানের বীজ উৎপাদন করার কার্যক্রম চলছে। তিনি বলেন, উৎপাদিত বীজ ফরিদপুর বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে চাহিদা মতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কৃষিবিদ মো. ফারুক হোসেন বলেন, খামারটি ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন কৃষি বিভাগের আওতাধীন ছিল। বিএডিসি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৬২ সালে বিএডিসির নিকট খামার হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকে অদ্যবধি খামারটি সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রিন্ট