ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

লালপুরের তাবলীগের সাথীদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুরে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার মধ্যরাতে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে বিনা কারণে নিরস্ত্র ঘুমন্ত তাবলীগের সাথীদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও হামলা পরিচালনাকারী সন্ত্রাসী সা’দ পন্থীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালপুর উপজেলা মোড়ে লালপুর উপজেলার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম, মুবাল্লিগে দ্বীন ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয় ।

 

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন নাটোর জেলা তাবলীগ জামাতের সূরা সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা হেফাজত ইসলামের সহ-সভাপতি হজরত মাওলানা খবির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত মাওলানা মুজাসসাস নাঈম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, কার্যকরী সম্পাদক হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল। এ সময় বক্তারা বলেন খুনি, সন্ত্রাসী, কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যাকারীরা কখনো তাবলীগের সাথী হতে পারে না। তারা ২০১৮ সালে তাবলীগী সাথী ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে, ২০২৪ সালে আবার শত শত তাবলীগের সাথী ভাইদের রক্তাক্ত করেছে, খুন করেছে বেলাল ভাই ও বাচ্চু ভাইদের মত ৪ জন ধর্মভীরু সাথীদের। আবার তারাই সংবাদ সম্মেলন করে নিরপরাধ সাজার চেষ্টা করছে।

 

ভারতের দালাল ও মোসাদের এজেন্ট এই সা’দপন্থীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে তাদের আসতে দেওয়া হবে না। ক্ষমতার লোভে সা’দ তার অনুসারীদেরকে দিয়ে বাংলাদেশে ও ইজতেমা মাঠে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার ও নিষিদ্ধ করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তারা। বক্তব্য শেষে গোপালপুর মাজার মসজিদ থেকে গোপালপুর রেলগেট পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধনটি গোপালপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপি প্রদান শেষে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিটির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহরকয়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা সাদ্দাম হোসেন, গৌরীপুর জিন নুরাইন কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, নবীনগর কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, আব্দুলপুর কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আলী আহমেদ, লালপুর বাজার মসজিদের খতিব ও রওজাতুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম হযরত মাওলানা জিয়াউর রহমান, স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, মুবাল্লিগে দ্বীন ও তৌহিদী জনতা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে মহম্মদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল

error: Content is protected !!

লালপুরের তাবলীগের সাথীদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি :

রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুরে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার মধ্যরাতে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে বিনা কারণে নিরস্ত্র ঘুমন্ত তাবলীগের সাথীদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও হামলা পরিচালনাকারী সন্ত্রাসী সা’দ পন্থীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালপুর উপজেলা মোড়ে লালপুর উপজেলার সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম, মুবাল্লিগে দ্বীন ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয় ।

 

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন নাটোর জেলা তাবলীগ জামাতের সূরা সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা হেফাজত ইসলামের সহ-সভাপতি হজরত মাওলানা খবির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত মাওলানা মুজাসসাস নাঈম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, কার্যকরী সম্পাদক হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল। এ সময় বক্তারা বলেন খুনি, সন্ত্রাসী, কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যাকারীরা কখনো তাবলীগের সাথী হতে পারে না। তারা ২০১৮ সালে তাবলীগী সাথী ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে, ২০২৪ সালে আবার শত শত তাবলীগের সাথী ভাইদের রক্তাক্ত করেছে, খুন করেছে বেলাল ভাই ও বাচ্চু ভাইদের মত ৪ জন ধর্মভীরু সাথীদের। আবার তারাই সংবাদ সম্মেলন করে নিরপরাধ সাজার চেষ্টা করছে।

 

ভারতের দালাল ও মোসাদের এজেন্ট এই সা’দপন্থীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে তাদের আসতে দেওয়া হবে না। ক্ষমতার লোভে সা’দ তার অনুসারীদেরকে দিয়ে বাংলাদেশে ও ইজতেমা মাঠে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার ও নিষিদ্ধ করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তারা। বক্তব্য শেষে গোপালপুর মাজার মসজিদ থেকে গোপালপুর রেলগেট পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধনটি গোপালপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপি প্রদান শেষে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিটির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহরকয়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা সাদ্দাম হোসেন, গৌরীপুর জিন নুরাইন কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, নবীনগর কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, আব্দুলপুর কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আলী আহমেদ, লালপুর বাজার মসজিদের খতিব ও রওজাতুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম হযরত মাওলানা জিয়াউর রহমান, স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, মুবাল্লিগে দ্বীন ও তৌহিদী জনতা।


প্রিন্ট