ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঝালকাঠির একমাত্র খ্রিস্টান পল্লীতে বড়দিনের উৎসব

খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে ঝালকাঠির একমাত্র খ্রিস্টান পল্লী নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামে থাকা খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ। রঙিন আলোতে হয়েছে সাজসজ্জা। রাজবাড়িয়া গ্রামের ৩০টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে এ খ্রিষ্টান পল্লী। জানা গেছে, দুইশত বছর বা তার আগে পর্তুগীজ শাসন আমলে এ অঞ্চলে খ্রিষ্টানরা বসতি স্থাপন করে। বংশ পরস্পরায় যুগে যুগে বসতি স্থাপন করে থেকে গেছেন অনেকে।

 

বড় দিনের সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমান এ পল্লীর জনসংখ্যা প্রায় ৪০০ জন। বড়দিন অতিথিদের আপ্যায়ন করতে কোন রকমের ত্রুটি না রাখতে ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে রকমারি পিঠাপুলি। পল্লীর সামনে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও গোসালয়। সব মিলিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 

বুধবার সকাল ১০ টায় বড়দিন উপলক্ষ্যে জেলার একমাত্র খিস্ট চার্চে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, পুলিশ সুপার উজ্জল দাস, সেনাবাহীনির ২২ ব্যাটালিয়ানের মেজর মোস্তফা কামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নজরুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় চার্চের ফাদারকে সাথে নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন অতিথিরা। পরে অতিথিরা খিস্টান পল্লীর বাসিন্দাদের সাথে কুশল বিনিময় করে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন।এসময় জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান খিস্টান পল্লীর বাসিন্দাদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

 

অন্যদিকে পল্লীর একমাত্র গির্জাকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনদন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গির্জার অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হয়েছে যিশুখ্রিস্টের প্রতিছবি। প্রার্থনা করতে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় নিযুক্ত আছে বিশেষ ভলানটিয়ার টিম।

 

এ পল্লীর বড়দিন উৎসব পালনের অন্যতম আয়োজক পলাশ রবিন গোমেজ জানান, নবরাজ খ্রিস্টকে গ্রহন করত বড়দিনের ৯ দিন আগ থেকে পল্লীতে নভেনা খিস্ট্র যোগ বা পাপস্বীকার পর্ব হয়েছে। সকালে ঘরে ঘরে এবং শিশু বৃদ্ধা সকলের জন্য থাকছে উৎসবের নাস্তা, কেক কাটা এবং অতিথি আপ্যায়ন। বড়দিন উপলক্ষে বিকালে গির্জায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব নিরবিছিন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আ.ছালাম।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ঝালকাঠির একমাত্র খ্রিস্টান পল্লীতে বড়দিনের উৎসব

আপডেট টাইম : ১৩ ঘন্টা আগে
মোঃ আমিন হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি :

খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে ঝালকাঠির একমাত্র খ্রিস্টান পল্লী নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়িয়া গ্রামে থাকা খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ। রঙিন আলোতে হয়েছে সাজসজ্জা। রাজবাড়িয়া গ্রামের ৩০টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে এ খ্রিষ্টান পল্লী। জানা গেছে, দুইশত বছর বা তার আগে পর্তুগীজ শাসন আমলে এ অঞ্চলে খ্রিষ্টানরা বসতি স্থাপন করে। বংশ পরস্পরায় যুগে যুগে বসতি স্থাপন করে থেকে গেছেন অনেকে।

 

বড় দিনের সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমান এ পল্লীর জনসংখ্যা প্রায় ৪০০ জন। বড়দিন অতিথিদের আপ্যায়ন করতে কোন রকমের ত্রুটি না রাখতে ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে রকমারি পিঠাপুলি। পল্লীর সামনে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও গোসালয়। সব মিলিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

 

বুধবার সকাল ১০ টায় বড়দিন উপলক্ষ্যে জেলার একমাত্র খিস্ট চার্চে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, পুলিশ সুপার উজ্জল দাস, সেনাবাহীনির ২২ ব্যাটালিয়ানের মেজর মোস্তফা কামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নজরুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় চার্চের ফাদারকে সাথে নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন অতিথিরা। পরে অতিথিরা খিস্টান পল্লীর বাসিন্দাদের সাথে কুশল বিনিময় করে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন।এসময় জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান খিস্টান পল্লীর বাসিন্দাদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।

 

অন্যদিকে পল্লীর একমাত্র গির্জাকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনদন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গির্জার অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হয়েছে যিশুখ্রিস্টের প্রতিছবি। প্রার্থনা করতে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় নিযুক্ত আছে বিশেষ ভলানটিয়ার টিম।

 

এ পল্লীর বড়দিন উৎসব পালনের অন্যতম আয়োজক পলাশ রবিন গোমেজ জানান, নবরাজ খ্রিস্টকে গ্রহন করত বড়দিনের ৯ দিন আগ থেকে পল্লীতে নভেনা খিস্ট্র যোগ বা পাপস্বীকার পর্ব হয়েছে। সকালে ঘরে ঘরে এবং শিশু বৃদ্ধা সকলের জন্য থাকছে উৎসবের নাস্তা, কেক কাটা এবং অতিথি আপ্যায়ন। বড়দিন উপলক্ষে বিকালে গির্জায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব নিরবিছিন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আ.ছালাম।


প্রিন্ট